২৫ মার্চ ২০১৬: নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে পানির নিচ থেকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এ তথ্য জানিয়েছে।এই পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সমুদ্রতল থেকে ছোঁড়া নিউক্লিয়ার মিসাইলপরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়বে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে বলেই মন্তব্য আমেরিকার।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, যে সব অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, সেসব পরীক্ষা-নীরিক্ষা নিয়ে আমরা সবসময় উদ্বেগে থাকি। তাই যে সব দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা সংযত হতে বলছি। নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার ক্ষেত্রে সংযত হতে হবে তাদের।
সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পাল্লার কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে এই পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোঁড়া হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশের তালিকার বাইরে ভারতই একমাত্র দেশ, যে ভূমি, আকাশ এবং জলভাগ থেকেই পরমাণু আক্রমণ চালাতে পারে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, জলের তলদেশ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা থাকলে তবেই একটি দেশকে প্রকৃত পরমাণু শক্তিধর বলা যায়। কারণ কোনও দেশের মূল ভূখণ্ড প্রতিপক্ষের পরমাণু হামলার শিকার হলে, পাল্টা হামলা জলভাগ থেকেই চালাতে হয়। মূল ভূখণ্ডের সব পরমাণু ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়ার লক্ষ নিয়েই প্রতিপক্ষ পরমাণু হামলা চালানোর ছক কষে। কিন্তু সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করা সম্ভব হয় না।
বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লির মধ্যে কথা হয়েছে বলেও মার্ক টোনার জানিয়েছেন।