ভবিষ্যতে, আফগানিস্তানে শাসন এবং জীবনের সকল বিষয় পবিত্র শরিয়ার আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, তালেবান সুপ্রিম নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ১৫ আগস্ট কাবুল পতনের পর তার প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতিতে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন । মঙ্গলবার রাতে তাদের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে তালেবান। আফগানভূমের তালেবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মুহাম্মদ হাসান আখুন্দ। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। তবে তিনি একা নন, দ্বিতীয় ডেপুটি হচ্ছেন মৌলভী হানাফি। বিদেশমন্ত্রী হচ্ছেন আব্বাস স্তানিকজাই, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পদে বসছেন মোল্লা ইয়াকুব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন সিরাজউদ্দিন হাক্কানি, যিনি আবার জাতিসংঘ মনোনীত সন্ত্রাসবাদী বলে পরিচিত । সেই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে শেখ মৌলবি নুরুল্লা মুনির।
আর তারপরই তিনি কার্যত বোমা ফাটালেন। সটান জানিয়ে দিলেন, ‘আজকের দিনে পিএইচডি, মাস্টার ডিগ্রি মূল্যহীন। আপনারা জানেন মোল্লারা ও তালেবানই এখন ক্ষমতায়। তাদের কোনও পিইচডি কিংবা এমএ ডিগ্রি তো নেই-ই। এমনকী, হাইস্কুলের ডিগ্রিও নেই। তবু তারাই সেরা।’। যদিও তালেবানরা কট্টরপন্থী নীতির পক্ষে হলেও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাওয়ার প্রচেষ্টায় দেশের মানুষের উন্নতি সাধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা , কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বলা আর করার মাঝে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে। যা তালেবান সরকারকে বার বার প্রশ্নের মুখে ফেলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী শেখ মৌলভি নূরুল্লাহ মুনির উচ্চ শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। শিক্ষামন্ত্রীর মুখে উচ্চশিক্ষা নিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য শুনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন। টুইটার ব্যাবহারকারীরা বলছেন , শিক্ষা সম্পর্কে এই ধরনের লজ্জাজনক চিন্তাভাবনা, বিশেষ করে সেদেশের যুব ও শিশুদের জন্য বিপর্যয়কর। উল্লেখযোগ্যভাবে ৩৩ সদস্য সম্বলিত তালেবান ক্যাবিনেটে স্থান পাননি কোনো নারী সদস্য।
সূত্রঃ PTI, AFP
London Bangla A Force for the community…
