ব্রেকিং নিউজ
Home / বিশ্ব / পাকিস্তানেও পালিত হবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

পাকিস্তানেও পালিত হবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬: প্রতিবারের মতো এবারও পাকিস্তানেও পালিত হবে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। দিবস উপলক্ষে শনিবার থেকেই দুইদিনব্যাপী মাতৃভাষা উৎসব আয়োজন করছে ইন্দুস কালচারাল ফোরাম, পাকিস্তানের লোকজ ও ঐতিহ্যগত জাতীয় ইনস্টিটিউট লোক ভিরসা এবং মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা এসপিও।

শনিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান অবজারভার। তবে প্রতিবেদনে মাতৃভাষা দিবসটি ইউনেস্কো ঘোষিত বলে উল্লেখ করা হলেও দিবসের ঐতিহাসিক ঘটনার কথা বলা হয়নি।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের নীতি নির্ধারকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই বাংলাদেশ এক গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস রচনা করে। তবে এ বিষয়ে অবজারভারের প্রতিবেদনে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। উৎসবে এই ইতিহাস তুলে ধরা হবে কিনা সে বিষয়েও কিছু জানা যায় নি।
উৎসবে পাকিস্তানের ১৫টি ভাষাভাষী ১৫০ জনেরও বেশি লেখক বক্তব্য রাখবেন। সমাজে শান্তি ও সহিষ্ণুতা আনার জন্য পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতিগত বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করা, বিভিন্ন ভাষায় পাঠককে উৎসাহিত করা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাই এ উৎসবের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন ভাষায় সংগীত পরিবেশনা, আলোচনা, বিভিন্ন মাতৃভাষায় লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনসহ নানা আয়োজন থাকছে উৎসবে। সেইসঙ্গে মূল ভাষায় লেখা বই ও সে বইয়ের ইংরেজি ও উর্দুতে অনূদিত সংস্করণ নিয়ে বইমেলারও আয়োজন করা হয়েছে।
এই উৎসবের মাধ্যমে সারাদেশের লেখকরা একত্রিত হবেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা। ইউএসএআইডি’র পাকিস্তান রিডিং প্রজেক্টের সহায়তায় উৎসবে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিও থাকছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল দিনটিকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হত। পরে ওই বছর নভেম্বরে ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। পাকিস্তান অবজারভার