২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬:আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতি। একুশের প্রথম প্রহরে সারা দেশেই ভাষাসৈনিকদের অবদান ও তাঁদের সংগ্রামমুখর দিনগুলোকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
রাত ১২টা ১ মিনিটেই ভাষাশহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর পরপরই শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুজনই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানন্ত্রীর পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এর পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ মন্ত্রী সভার সদস্যগণ।
এরপর এটর্নি জেনারেল মাহবুব-এ আলম, সেনাবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, আইজিপি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরো পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও সিনেট সদস্য, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, জাসদ ছাত্রলীগ, জাতীয় প্রেসক্লাব, বাসদ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধিরাও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মধ্যরাতে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘিরে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। গোটা এলাকায় সুদৃশ্য আলপনা আঁকা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির বাণী
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, অমর একুশের অবিনাশী চেতনা স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অসীম প্রেরণা ও শক্তি জুগিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় ঐক্য ও বিজয়ের প্রতীক হয়ে উঠবে।
দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাভাষীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান ভাষা আন্দোলন জাতীয় ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এ আন্দোলন ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অমর একুশের অবিনাশী চেতনা পরবর্তীকালে স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অসীম প্রেরণা ও শক্তি জুগিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি অর্জন করে বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।’
তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ভাষাশহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ ভাষার দাবিতে সোচ্চার তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ সকল ভাষাসৈনিককে, যাঁদের অসীম ত্যাগ, সাহসিকতা, দক্ষ সাংগঠনিক ক্ষমতা ও ত্বরিত কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাঙালি পায় মাতৃভাষার অধিকার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ বিশ্বে বিরল ঘটনা। মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙালি জাতি যে ইতিহাস রচনা করেছিল, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্ব আজ তাকে স্মরণ করছে সুগভীর শ্রদ্ধায়। ১৯৯৯ সালে কয়েকজন মাতৃভাষাপ্রেমী বাঙালির প্রাথমিক উদ্যোগে এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ ও ঐকান্তিক চেষ্টায় জাতিসংঘ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে জাতিসংঘ এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন, ল্যাংগুয়েজ এন্ড লার্নিং আউটকামস’ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণকালে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনের ওপর এ প্রতিপাদ্যে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি মনে করেন নিজস্ব মাতৃভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পবিত্র সংবিধান ও গণতন্ত্র এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হই। পবিত্র সংবিধান ও গণতন্ত্র এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখি। দেশ ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নেই।’
প্রধানমন্ত্রী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।
বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরো অনেকে।’
প্রধানমন্ত্রী ভাষাশহীদ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল ভাষাসৈনিকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ ধর্মঘট ডাকে। এদিন সচিবালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুসহ অনেক ছাত্রনেতা গ্রেপ্তার হন। ১৫ মার্চ তাঁরা মুক্তি পান। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ মুজিবুর রহমান। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।’
ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান। ১৯ এপ্রিল আবারও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুলাই মাসের শেষে তিনি মুক্তি পান। ১৪ অক্টোবর ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগার থেকেই তাঁর দিকনির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান হয়। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষাশহীদরা।’
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সেই রক্তস্নাত গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কানাডা প্রবাসী সালাম ও রফিকসহ কয়েকজন বাঙালি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করে। যার ফলে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সারা বিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দাবি উত্থাপনসহ বিশ্বের সকল ভাষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং ভাষা সংরক্ষণের জন্য তার সরকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী সকল ভাষা শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
খালেদা জিয়ার বাণী
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এ দেশের ওপর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে জাতি হিসেবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখতে চাচ্ছে।’
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভিন্ন কায়দায় আমাদের ভাষা-সংস্কৃতির ওপর বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে মহলবিশেষের সহযোগিতার জন্য। যাঁরা দেশকে তাঁবেদার রাখতে চান, তাঁরাই চক্রান্তজাল বুনে আধিপত্যের থাবাকে বিস্তার লাভ করতে সুযোগ দিয়ে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসনকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। যাতে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারি। আর এই জন্যই এখন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও একদলীয় দুঃশাসনের শৃঙ্খলে দেশের মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। সুতরাং আজও একুশের অম্লান চেতনা সকল ষড়যন্ত্রকারী আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই দুঃসময়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রেরণা জোগাবে বায়ান্নর মহান একুশের শহীদদের আত্মদান। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।’
ভাষাশহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও ভাষাসৈনিকদের অভিনন্দন জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমে এসে পুলিশের গুলিতে আত্মদান করে। তাদের এই মহিমান্বিত আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান। বায়ান্ন সালের একুশের পথ ধরেই এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়েছে, অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা।’
London Bangla A Force for the community…
