১৫ জুন ২০১৫: ইসলামিক স্টেট বা আইএস জেহাদিদের দমনে দিনে ৯০ লাখ ডলার খরচ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত আগস্ট থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস জেহাদি-বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে ৪ হাজার ১০০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত পেন্টাগনের ব্যয় হয়েছে ২৭০ কোটি ডলার। পেন্টাগন গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো আইএস-বিরোধী অভিযানে খরচের হিসাব প্রকাশ করল। বিবিসির খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ বলছে, অভিযানে পেন্টাগনের মোট ব্যয়ের দুই-তৃতীয়াংশই ব্যয় হয়েছে বিমানবাহিনীর পেছনে। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ প্রতিরক্ষা খাতে ৫৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার তহবিল অনুমোদন করেছে। গত আগস্টে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আইএস-বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে খরচ অনেক বেড়েছে।এদিকে, ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক বিদ্রোহী গ্রুপ ইসলামিক স্টেট বা আইএস সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ হস্তগত করেছে। ফলে বিদ্রোহী এই গ্রুপটি এইসব পদার্থ ব্যবহার করে ব্যাপক পরিমাণে গণবিধ্বংসী অস্ত্র বানাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, জব্দকৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আইএস ডার্টি বোমা (পারমাণবিক বর্জ্য থেকে তৈরি বিস্ফোরক) তৈরি করতে পারে। এর আগে আইএস তাদের প্রপাগান্ডা ম্যাগাজিন দাবিকের মাধ্যমে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেয়। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ জানিয়েছেন, সরকারি বাহিনী ও হাসপাতাল থেকে আইএস যেসব উপাদান জব্দ করেছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সামরিক জোট ন্যাটো। কারণ ওই সব উপাদান সাধারণত কোনো দেশের সরকারের কাছেই থাকতে পারে। বিশপ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিষয়টি সত্যিই তাদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে বিশপ অভিযোগ করেন, আইএস বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং পররাষ্ট্র বিভাগ এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিয়েছে এবং সে কারণেই উদ্বেগ বাড়ছে বলে জানান বিশপ। অন্যদিকে, এই সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন সেনাবাহিনীতে আরও ৪৫০ জন উপদেষ্টা নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে সেখানে নিযুক্ত মার্কিন সেনার সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারে দাঁড়াবে। যুদ্ধের পেছনে এত বিপুল ব্যয় নিয়ে বিতর্কও চলছে। ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার ওয়েসলি ক্লার্ক ইরাকে আরও সেনা পাঠানোর ব্যাপারে পেন্টাগনকে সতর্ক করেছেন। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, ইরাকের স্থানীয় বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো কাউকে মার্কিন সেনাবাহিনীতে রাখা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেন, ইরাকে মার্কিন সেনা অভিযানের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। বিবিসি, রয়টার্স।