১৫ জুন ২০১৫: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার স্বীকার করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তৎপর আইএস জেহাদিরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র পাচ্ছে। তিনি মার্কিন ফক্স নিউজকে গত বুধবার বলেছেন, আইএসকে অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী। তবে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র উদ্দেশ্যমূলক প্রক্রিয়ায় আইএস’কে এসব অস্ত্র দিচ্ছে না। গত মার্চ মাসে ইরাকের বদর সংস্থার প্রধান কাসিম আল-আরাজি জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, তার কাছে প্রমাণ রয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে জেহাদি গোষ্ঠীকে অস্ত্র দিচ্ছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে মার্কিন সামরিক বিমান থেকে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বোমা ফেলার পাশাপাশি সমরাস্ত্রও ফেলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কিসিঞ্জার বলেন, এখানে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র শুধু এসব অস্ত্র তাদের কাছেই পাঠাচ্ছে যারা পেন্টাগনকে সহায়তা করছে। আর এর মাধ্যমে এই ইঙ্গিত পরিষ্কার যে, আইএস’কে অস্ত্র দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র একটা ভূমিকা পালন করছে।লন্ডনভিত্তিক অর্গানাইজেশন কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ বলেছিল, আইএস জেহাদি সংগঠন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে, যার মধ্যে এম-১৬ অ্যাসাল্ট রাইফেলও রয়েছে। এসব রাইফেলের গায়ে খোদাই করে লেখা রয়েছে ‘প্রোপার্টি অব দ্যা ইউএস গভর্মেন্ট’। এছাড়াও গত বছরের জুন মাসে অ্যারোন ক্লেইন নামে এক সাংবাদিক ‘ওয়ার্ল্ড নেট ডেইলি’তে রিপোর্ট করেছিলেন, ২০১২ সালে জর্দানের একটি গোপন ঘাঁটিতে মার্কিন প্রশিক্ষকদের কাছে আইএস জেহাদি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এদিকে, কেন্টাকি থেকে নির্বাচিত সিনেটর র্যান্ড পল গত বছর বলেছিলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত কথিত মধ্যপন্থিদের কাছ থেকে আইএস’র কাছে যে অস্ত্র যাচ্ছে তা দিয়ে তারা ইরাকের বিরাট এলাকা দখল করে নিতে পারে। তিনি বলেছিলেন, আইএস’র সহযোগীদের অস্ত্র দেয়ায় তারা সাহস পেয়েছে। আমরা সিরিয়ায় আইএস’র সহযোগীদের সহায়তা করেছি। গত সেপ্টেম্বর মাসে র্যান্ড পল আরো বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এ পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রেও হস্তক্ষেপের নীতিই দায়ী। তবে র্যান্ড পলের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন হেনরি কিসিঞ্জার। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় জিহাদি গোষ্ঠী আইএস নিয়ন্ত্রিত তাল-আবইয়াদ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তুরস্ক। তুর্কি দৈনিক টুডে’জ জামান পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।