১১ জুন ২০১৫: মিয়ানমার দাবি করেছে, তাদের মাটিতে ভারত কোনও অভিযান চালায়নি। প্রেসিডেন্টের দফতরের ডিরেক্টর জ তে আজ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওই এলাকায় থাকা ব্যাটেলিয়ন সূত্রে আমরা জেনেছি যে, ভারত সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিজেদের ভূখণ্ডেই সেনা অভিযান চালিয়েছে।’ সেনাকর্তারা এর মধ্যেও অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না। কারণ, নিজের দেশে অন্য দেশের সেনা অভিযান চালালে মুখ পোড়ে বই কি!
কিন্তু এমন বিরল অভিযানের সিদ্ধান্ত কেন নিল নয়াদিল্লি? প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্র বলছে, মায়ানমারে সেনা অভিযানের পটভূমিতে আছে উত্তর-পূর্ব ভারতে একের পর এক জঙ্গি হানার ঘটনা। যার জেরে মে মাসে নাগাল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে অসম রাইফেলসের ৮ জওয়ানের। ক’দিন আগেই সেনা কনভয়ে হানায় ১৮ জন মারা গিয়েছেন মণিপুরের চাণ্ডেল জেলায়। অরুণাচল প্রদেশের ছিন এলাকাতেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, চীনা সেনার একাংশ এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সংগঠিত করতে সাহায্য করছে। তাঁদের বক্তব্য, লালকৃষ্ণ আডবাণী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন এক বার আইএসআই উত্তর-পূর্বের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে একজোট করেছিল। এ বার চীনা সেনাবাহিনী সেই একই চেষ্টা করছে। যদিও এই অভিযোগ ‘অসম্ভব এবং অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে অস্বীকার করেছে চীন।
উত্তর-পূর্বে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি তৎপরতা দেখে গত মাসেই মোদি সিদ্ধান্ত নেন, মায়ানমারের ঘাঁটিগুলিকে নির্মূল করতে হবে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে ব্রজেশ মিশ্র যখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, তখন ভুটানে জঙ্গি ঘাঁটি ভাঙার অভিযানের মূল কারিগর ছিলেন ডোভালই। এ বারও তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভুটানে অভিযান চালানোর সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আডবাণীকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেছিলেন বাজপেয়ী। এ বার মিয়ানমারে অভিযানের খবর ছিল না রাজনাথ সিংহের কাছে। সবটাই মোদি-ডোভাল যুগলবন্দি।
সূত্র: প্রিয়.কম
London Bangla A Force for the community…
