০৭ জুন ২০১৫: বাংলাদেশে আসার আগে এ সফরে উভয় দেশের জনগণ সুফল পাবে বলে টুইট করেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরকালীন বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশের সুফল দৃশ্যমান না হলেও ভারতের সুফল পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হবে, তাতে ভারতে ৫০ হাজার চাকরি সৃষ্টি হবে। রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়ায় $2 billion line of credit to Bangladesh to create 50,000 Indian jobs শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১৫ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা) ঋণ দেবে ভারত। ভারতীয় বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঋণ সরবরাহ করা হবে।
চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঋণের অর্থ যে সকল প্রকল্পে খরচ করা হবে তার কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সেবা ভারত থেকে কিনতে হবে। অর্থাৎ ঋণের দায় বাংলাদেশের আর সুদ-আসল ছাড়াও রফতানি ব্যবসা হবে ভারতের।
নতুন ঋণের টাকায় বাংলাদেশে নেয়া প্রকল্পগুলোকে কেন্দ্র করে ভারতে নতুন করে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ঋণের অর্থ সরবরাহকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ভারতের এক্সিম ব্যাংক (এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক)। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক যদুভেন্দ্র মাথুর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৮৬২ মিলিয়ন ডলার ঋণ বাবদ সরবরাহ করেছি। এই ২০০ কোটি ডলার ঋণ ভারতকে বিপুল পরিমাণ রফতানির সুযোগ এনে দেবে। এটা ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, এই ঋণের ফলে অনেক খাতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য রফতানি করতে পারবে। এর মধ্যে অবকাঠামো খাতের ইস্পাত (স্টিল) ও সিমেন্ট উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, ‘এটা (বাংলাদেশের ঋণ) অবকাঠামো খাত ও প্রকল্পগুলোর প্রবৃদ্ধিই ত্বরান্বিত করবে না কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি করবে।’
মাথুর জানান, চুক্তির শর্তানুযায়ী, ঋণের অর্থে নেয়া প্রকল্পগুলোর অন্তত ৭৫ শতাংশ যন্ত্রপাতি ও সেবা ভারত থেকে নিতে হবে। এ সব পণ্য ও সেবার উৎপাদন প্রক্রিয়া হবে ভারতেই।
শুধু বাংলাদেশ নয় নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপেও সম্প্রতি একই শর্তে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে ভারত।
বিপুল পরিমাণ ঋণের অর্থ সরবরাহে ইতোমধ্যে দিল্লি অফিসে বিশেষ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে এক্সিম ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ৬০টি দেশে ঋণদান কার্যক্রমে এক্সিম ব্যাংক সক্রিয় ছিল। আর তাতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হয়েছে।