৭ জুন ২০১৫: ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর ভারতের সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য হিসেবে দেয়া অটল বিহারির বক্তৃতার উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের রক্ত একত্রে ঝরেছে। সেই রক্তের বন্ধনে যে সন্ধি হয়েছে দুই দেশের মানুষের, তা কোনো দিন ভাঙ্গবে না।’
রোববার দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা অটল বিহারি বাজপেয়িকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ভারতের যে কোটি কোটি মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমিও ছিলাম তাদের মধ্যে একজন।’
হিন্দি ভাষায় দেয়া বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ভারতবাসীর জন্য আজ গৌরবের সময়। যে মহাপুরুষ তাদের ও দেশের সেবায় গোটা জীবন ব্যয় করেছেন, পরিবর্তন এনেছেন, রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির কারণে যিনি হয়ে উঠেছেন আমার মতো লাখো কর্মীর প্রেরণা, মহাভারতের সেই ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়িকে বাংলাদেশ সম্মানিত করছে।’
বাজপেয়িকে সম্মনিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোদি বলেন, ‘একাত্তর সালে বিরোধী দলে থেকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ এই মুহূর্তে সবচেয়ে আনন্দের বিষয়টি হল, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির হাতে অটল বিহারিকে পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে- সেই রাষ্ট্রপতি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। এটা একটা গৌরবের ব্যাপার। আরেকটি গর্বের বিষয়, যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও মতাদর্শে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে এবং জয় পেয়েছে, সেই বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত। এটাও সম্মানের ব্যাপার।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতীতে ফিরে গিয়ে বলেন, ‘আজ একটি তথ্য জানাচ্ছি। যা আগে কখনো বলিনি। তবে ব্যাপারটি নিয়ে আমি গর্বিত। আমি সক্রিয় রাজনীতিতে অনেক পরে এসেছি। যখন একজন কর্মী হিসেবে কাজ করি আমি। তখন বাংলাদেশকে সমর্থন জানাতে অটল বিহারি বাজপেয়ি যে সত্যাগ্রহের ডাক দিয়েছিলেন, গ্রাম থেকে দিল্লিতে এসে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমি যোগ দিয়েছিলেন সেখানে।’
‘ভারতের যে কোটি মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলাম আমিও’ জানান তিনি।
দুই দেশের সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে এমন আশা ব্যক্ত করে মোদি বলেন, ‘অটল বিহারির সেই কথাগুলোকে নিয়তি দিতে হবে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অটুট থাকবে। আমাদের স্বপ্নগুলো যৌথভাবে পূরণ হতে থাকবে।’
এর আগে অটল বিহারি বাজপেয়ির পক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
London Bangla A Force for the community…
