৭ জুন ২০১৫: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা দু’টি মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট সৈয়েদা আশিয়া আশরাফী পাপিয়া, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিবুর নবী খান সোহেল, জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ইয়াছিন আলী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শেখ শিবলী নোমানীসহ ২৮ জন।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত ৪২ আসামির মধ্যে ২৮ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো। বাকি আসামিরা জেল হাজতে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতাল সফল করার উদ্দেশে মিরপুর মডেল থানার জনসেবা প্রকল্প অফিসের সামনে জড়ো হয়ে রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনের যাত্রীদের হত্যার উদ্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির গ্লাস ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় ওই দিনই মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খন্দকার রাজিব আহমেদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন।