মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসিদের পাঠানো টাকার পরিমাণ কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ নয় মাসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স এসেছে ৬ হাজার ৬৮৮ দশমিক ২০ মার্কিন ডলার। এ হিসাবে পুরো বছরে রেমিটেন্স আসবে ৮ হাজার মার্কিন ডলার থেকে ৮ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার। আগের ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ পরিমান ছিল ৮ হাজার ৪০০ দশমিক ৯৮ মার্কিন ডলার। কিন্তু তার আগের বছর ২০১২-১৩ তে মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসিরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছিল ৯ হাজার ১৬৪ দশমিক ৭২ মার্কিন ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে পর পর দুই বছর রেমিটেন্স আসা কমেছে।
বিদেশ থেকে রেমিটেন্স সংগ্রহের সাথে যুক্ত ব্যাংকের সুত্রগুলো জানায়, মূলতঃ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধবিগ্রহ চলার কারণে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ কমেছে। ইবাকে যুদ্ধ শুরম্ন হওয়ার সময়ে রেমিটেন্স আসার পথে যে ধাক্কা লেগেছিল যুদ্ধ পরবর্তি ২০০০ সালের পর তার কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এরপর থেকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স আসার গতি স্বাভাবিক হয়। প্রবৃদ্ধির ধারাও ঠিক ছিল। কিন্তু নতুন করে সিরিয়া ও লিবিয়া যুদ্ধে জড়ালে এবং ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে জঙ্গী সংগঠন আইএস বিভিন্ন মুসলিম দেশ দখল করে নিলে নতুন করে রেমিটেন্স আসাতে প্রভাব পড়ে।
সংশিস্নষ্টরা জানায়, লিবিয়া থেকে পাঠানো সাম্প্রতিক সময়ে রেমিটেন্সের হার বিশেস্নষণ করলেই বিষয়টি ফুটে উঠে। দেশটিতে ২০১০-১১ অর্থবছরে রেমিটেন্স আসে ৫ দশমিক ২০ মার্কিন ডলার, ২০১১-১২ অর্থবছরে আসে ১২ দশমিক ৯১ ডলার, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫৭ দশমিক ৬৫ ডলার,২০১৩-১৪ অর্থবছরে আসে ৭১ দশমিক ৯৬ ডলার। এবং চলতি অর্থবছরে নয় মাসে নেমে আসে ৩৩ দশমিক ৮৪ মার্কিন ডলারে। সুত্রটি জানায় বর্তমান সৌদি আরব থেকে যে হারে রেমিটেন্স আসছে, আগামীতে এ গতি আরো বাড়লে অন্য দেশ থেকে রেমিটেন্স কমলেও মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স আসা গড় হার ঠিক থাকবে।