‘
বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ফিলিস্তিনের রাজপথ। এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী।
‘স্টেপ ডাউন আব্বাস’ (আব্বাস সরকার নিপাত যাক) স্লোগানে ভারি হয়ে উঠছে ফিলিস্তিনের বাতাস। তাদের দাবি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরাইলের হয়ে কাজ করছেন। এবার এ আন্দোলনের পালে আরও বাতাস দিলো ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লে মনডে’।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমটি ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের দাবি, মাহমুদ আব্বাস স্বৈরাচারী নীতি, অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের অধিকার নষ্ট করছেন। পত্রিকাটি বলছে যে, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার জাতির স্বাধীনতার পথে বাধা।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমটির বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বেশ কয়েকটি নির্বাচন বাতিল করেছেন এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মতো সহিংসতা অব্যাহত রেখেছেন। এ সহিংসতা দেশটির জনগণের স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলস্বরূপ, মানুষের দৃষ্টিতে এখন তার প্রশাসনের কোনো মূল্য নেই।
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, দেশের ভালোর জন্যে মাহমুদ আব্বাসের এখন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
তারা আরও স্পষ্ট করে বলেছেন যে, আব্বাসের সাম্প্রতিক প্রতিটি কার্যকলাপ দখলদার ইসরাইলের স্বার্থে।
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ২০০৫ সাল থেকে ফিলিস্তিনের ক্ষমতায় আছেন। ক্ষমতার লাভের শুরুর সময়ে ভালো থাকলেও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে বিতর্কের সম্মুখীন হচ্ছেন।
মাহমুদ আব্বাসের নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর নির্বাচন প্রত্যাহার করাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এর প্রধান কারণ মনে করছেন।
তবে ৮০ বছর বয়সী মাহমুদ আব্বাস সম্পর্কে অনেক ফিলিস্তিনির সহানুভূতিও আছে। তিনি সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে কখনো আত্মসমর্পণ করেননি। ট্রাম্প এবং ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম জর্ডানকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করলে মাহমুদ আব্বাস তাদের কাছে কোনো নমনীয়তা দেখাননি।