ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ও বিকল্প ধারার যুগ্ম সম্পাদক মাহী বি চৌধুরীর গাড়িতে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।
দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে মাহীর হাত ভেঙে দিয়েছে। তার স্ত্রী ও গাড়ি চালককে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়েছে। হামলায় মাহীর ব্যক্তিগত গাড়িটিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আহতদের সবাইকে উদ্ধারের পর গুলশানের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজ কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার আগে রাত ১টা ২০ মিনিট থেকে এটিএন নিউজের লেটনাইট টকশো ‘ইয়ং নাইট’ এ অংশ নেন মাহী বি চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে এটিএন নিউজ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বারিধার বাসায় যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে হামলার শিকার হন মাহী, স্ত্রী লোপ ও গাড়ি চালক (তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম জানা যায়নি, মাহী-লোপার নাম আগেই গণমাধ্যমে প্রচারিত)।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাহীর ফেসবুক ফ্যানপেইজে এক বিবৃতিতে এ হামলার কথ জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘মাহী বি চৌধুরী এটিএন স্টুডিও হতে বের হওয়ার সময় ওনার গাড়িতে হামলা হয়েছে এক্টু আগে। ওনার হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। ওনার ওয়াইফকে বাঁশ দিয়ে মারা হয়েছে। গাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে। উনি ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবার দোয়া প্রার্থী।’
বিজ্ঞপ্তিতে হামলার বিচার চেয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘একজন সৎ লোকের কি এই হাল হবে নির্বাচনে নামলে?’
উল্লেখ্য, মাহীর উপর হামলার স্থানের কয়েকশ’ গজের মধ্যেই গত সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদ জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এরপর গত বুধবার কিছু দূরে বাংলামটরেও খালেদা জিয়ার উপর হামলা চালানো হয়।
উভয় হামলাতেই খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করা হয়। খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালানো হয়, গাড়ির কাঁচ বুলেট প্রুফ হওয়ায় যা থেকে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
দুই হামলার ঘটনায় ধারণকৃত স্থির ও ভিডিও চিত্রতে দেখা গেছে হামলায় জড়িত ছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা।
এর মধ্যে কারওয়ান বাজারের ঘটনায় চিহ্নি হয়েছেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাকির, ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আল-আমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় নেতা খোকন, ছাত্রলীগ নেতা রাজু, তুহিন, মাহমুদ ও রাহিম রহমান।
বাংলামটরের ঘটনায় চিহ্নিত হয়েছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, মাহমুদুল হাসান ওরফে টিটো, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান।
হামলাকারীদের মধ্যে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমেদ ওরফে হৃদয়কে সরাসরি আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে দেখা গেছে।
London Bangla A Force for the community…

B S L DAMOKRHE NEWS…
সাবাশ আম্লীগ
একেই বলে হাসিনা সরকার