বাঘকে হঠিয়ে সিংহকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দেওয়ার কথা ভাবছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রাজ্যসভায় প্রথম এই প্রস্তাবটি আনেন ঝাড়খণ্ডের সাংসদ পরিমল নাথওয়ানি। পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে তিনি এই নিয়ে দরবারও করেন। পরিবেশ মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনল বোর্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ (এনবিডব্লুএল)-এ প্রস্তাবটি পাস হয়। সূত্রে খবর, বোর্ড ভর্তি গুজরাতের সদস্যদের নিয়ে।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভারকরের নেতৃত্বাধীন একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি মার্চ মাসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ”এই কমিটি বৃহত্তর স্বার্থে পরিবেশ মন্ত্রককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছে।” জানিয়েছেন এনবিডব্লুএল-এর সদস্য রামান সুকুমার।
১৯৭২ সাল থেকে ভারতের জাতীয় পশু বাঘ। তাহলে হঠাৎ কী এমন ঘটল যে বাঘের মুকুট নিয়ে টানাটানি পড়ে গেল? এনবিডব্লুএল সদস্য এইচ এস সিং বলেছেন ”ভারতের ১৭টি রাজ্যে বাঘ পাওয়া যায়। সেখানে সিংহের দেখা মেলে শুধু গুজরাতের গিরে।” তবে নিন্দুকরা বলছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাতের বাসিন্দা হওয়ায় এমন প্রস্তাব আনা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই প্রস্তাবের কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বেজায় খেপেছেন ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্টরা। তাঁদের বক্তব্য বাঘকে এভাবে জাতীয় পশুর পদ থেকে সরিয়ে দিলেই অভায়ারণ্য গুলির কাছে শিল্প তালুক গড়ে তোলা যাবে সহজেই। বাড়বে চোরা শিকার। ‘সেভ টাইগার’ ক্যাম্পেন ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ভরবে সরকারের কোষাগার।
তবে এই প্রথম নয়। ২০১২ সালেও নাথওয়ানি এই একই প্রস্তাব এনে ছিলেন। কিন্তু, তৎকালীন কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজন এক কথায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। সাফ জানিয়েদেন এই নিয়ে কোনও আলোচনাই হবে না।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভাড়কর এই ধরণের কোনও প্রস্তাবনার কথা অস্বীকার করেছেন। শুধু জানিয়েছেন, মার্চের মিটিংয়ে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।