প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষ পুড়িয়ে মারার কালচার শুরুর জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, একটা রাজনৈতিক দল কীভাবে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারে তা তিনি বুঝতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারার কালচার শুরু করেছে- এটা খুবই দুঃখজনক। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- ন্যূনতম মানবিক বোধ সম্পন্ন একজন মানুষ কীভাবে এমন নিষ্ঠুর কাজ করতে পারেন?’
সোমবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এইচ টি ইমাম, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ড. মশিউর রহমান, অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ ও ড. হোসেন মনসুর, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, ড. হাসান মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুকুল বোস অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত তিন মাসে দেশের মানুষের ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা বয়ে গেছে এবং চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯২ দিন জনগণ জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা সহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে, যা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত চক্র ট্রাক, বাস এবং ট্রেনে আগুন দিয়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে। তারা শুধুমাত্র পাবলিক গাড়ি পুড়িয়েছে তা নয়, তারা নিম্ন ও মধ্য এবং সাধারণ মানুষকেও পুড়িয়ে মেরেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের কল্যাণ এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে তার দল কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে জীবিত মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো দুঃখজনক ঘটনা আমরা অতীতে কখনো দেখিনি।’
বকওয়াস না করে খালেদার সাথে হওয়া গোপন আতাঁত মত কাজ করে যাও।