৩ নভেম্বর ২০১৪: রাস্তাতেও চলতে পারে। আবার আকাশেও উড়তে পারে। নাম ফ্লাইং কার বা উড়ন্ত গাড়ি। প্রস্তুতকারক এরো মোবিল। সম্প্রতি ভিয়েনার প্রযুক্তি মেলায় উড়ন্ত গাড়ির ক্ষুদ্র সংস্করণ উন্মোচন করা হয়। তার আগে গত সপ্তাহেই পরীক্ষামূলক ভাবে আকাশে উড়েছে ফ্লাইং কার। খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে উড়ন্ত গাড়ি এরো মোবিল থ্রি পয়েন্ট জিরো। তবে তার আগে একবার দেখে নেওয়া যাক কেমন হবে সেই স্বপ্নের উড়ান।
এ যেন সেই রূপকথার পক্ষীরাজ ঘোড়া। যে কিনা দৌড়তেও পারত আবার প্রয়োজনে হুস করে উড়েও যেত। দেখতে আর পাঁচটা গাড়ির মতই। তবে ডানা মেলে সে যখন আকাশে পাড়ি দেয়, তখন কিন্তু তার সঙ্গে সেই রূপকথার পক্ষীরাজ ঘোঁড়ার কোনও তফাত থাকে না।
প্রায় পঁচিশ বছর ধরে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর এবার সত্যি সত্যিই বাজারে আসছে ফ্লাইং কার। সৌজন্যে এরো মোবিল। তারাই তৈরি করেছে এই অত্যাধুনিক উড়ন্ত গাড়ি। নাম এরোমোবিল থ্রি পয়েন্ট জিরো। গাড়িতে রয়েছে হাই-টেক ককপিট এবং ভাঁজ করা যায় এমন ডানা। ফলে পার্কিংয়েরও কোনও সমস্যা নেই।
সম্প্রতি ভিয়েনার প্রযুক্তি মেলায় আত্মপ্রকাশ উড়ন্ত গাড়ির। তার আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার আকাশে বেশ কয়েকবার চক্কর কেটেছে এরোমোবিল। খুব একটা সমস্যা না হলেও, বাণিজ্যিক ভাবে উত্পাদন শুরু আগে সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা আরও পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালাতে চান।
এরোমোবিল এমন ভাবে তৈরি যাতে আকাশ এবং মাটি….সমান গতিতে সে ছুটতে পারবে। আর সব থেকে বড় কথা হল টেক-অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের জন্যও তার খুব বেশি জায়গাও লাগবে না। বাড়ির পাশে মাত্র পঞ্চাশ মিটার ঘাসজমি থাকলেই যথেষ্ট। দিব্বি মাটি থেকে ডানা মেলে আকাশে পাড়ি দেবে উড়ন্ত গাড়ি।
উত্পাদনকারী সংস্থার দাবি, যেসমব দেশে পরিবহণ ব্যবস্থা খুব ভালো নয়, সেসব দেশের জন্য যথেষ্ট কার্যকরি হবে এরোমোবিল। তবে আর অপেক্ষা কেন। হাতে কড়ি আর বাড়ির পাশে জমি…এই দুটি থাকলে আপনিও একটি এরোমোবিলের মালিক হতে পারেন।
সৌজন্যে: জি নিউজ