৩ নভেম্বর ২০১৪: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রাশেদ তালুকদারের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহ আলম। বিচারক বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
মামলাটির অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘গত ৭ সেপ্টেম্বর এক বক্তৃতায় হানিফ বলেন, আল কায়েদার সঙ্গে তারেক রহমানের যোগসূত্র অস্বাভাবিক নয়। তিনি আইএসআইয়েরও এজেন্ট। হানিফের এ বক্তব্য পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়।’
মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বাদী গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিবাদী মাহবুব উল আলম হক হানিফকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। মামলার অভিযোগের বর্ণনায় দেখা যায়, বিবাদী এই লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছেন এবং ভেবে চিন্তে বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছেন। কিন্তু বক্তব্য প্রত্যাহার না করায় বাদীর কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে, হানিফ ইচ্ছাকৃতভাবে অসত্য বক্তব্য দিয়ে তারেক রহমানের মানহানি ঘটিয়েছেন।
বাদীর অভিযোগ মতে অসত্য বক্তব্য দিয়ে এবং তা প্রত্যাহার না করায় দেশে বিদেশে তারেক রহমানের মান সম্মান দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
হানিফ তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন এবং তারেক রহমানের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন বলে বাদীর প্রত্যাশা ছিল বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেছেন।
বাদী আরো অভিযোগ করেন, হানিফের এ বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় তারেক রহমান ও তার মানহানি ঘটেছে। বাদী তার মামলায় ৮ জনকে সাক্ষী করেছেন।