ব্রেকিং নিউজ
Home / ব্রিটেন সংবাদ / লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো বেস্ট কারি শেফ প্রতিযোগিতা

লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো বেস্ট কারি শেফ প্রতিযোগিতা

chefঅক্টোবর ১১, ২০১৪: ব্রিটেনে বাংলাদেশি নিয়ন্ত্রিত কারি রেস্তোরাঁর প্রতিনিধিত্বকারী অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বেস্ট শেফ অব দ্য ইয়ার ২০১৪ প্রতিযোগিতা। ৭ অক্টোবর সোমবার মধ্য লন্ডনের হ্যামারস্মিথ অ্যান্ড ওয়েস্ট লন্ডন কলেজে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

কারি শিল্পের মূল কারিগর শেফরা (পাচক) এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। নান্দনিক নানা রন্ধনশৈলী দিয়ে তাঁরা বিচারকদের তৃপ্ত করেন। বিচারকেরা প্রতিযোগীদের মধ্যে থেকে সেরা ১০ জনকে নির্বাচন করবেন। আগামী ২ নভেম্বর বিসিএর বার্ষিক কারি অ্যাওয়ার্ড ও গালা ডিনারে এ বছরের নির্বাচিত সেরা ১০ শেফের নাম ঘোষণা ও তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।
যুক্তরাজ্যের নানা শহরে অবস্থিত রেস্তোরাঁর বাংলাদেশি শেফরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কারি শিল্পের সম্মানজনক এই পুরস্কারের জন্য লড়তে কয়েক শ আবেদন জমা পড়ে। বাছাইপর্বে নানা প্রক্রিয়ার পর ২৪ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পর্বের বেস্ট শেফ অব দ্য ইয়ার প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ন্যাশনাল কারি শেফ প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা ও স্থানীয় সরকারের সাবেক হেলথ প্রমোশন কর্মকর্তা আলেক্স ল্যাং, নভোটেল স্টিভেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হার্টফোর্ডশায়ার হোটেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এরিক ইন্নো স্নেল, ওয়েস্ট লন্ডন এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড স্কিল একাডেমির কারিকুলাম ব্যবস্থাপক ডেনিস চার্লস ও এনটিভি ইউরোপের আতিকস কিচেনের প্রধান ও সেলিব্রেটি শেফ আতিক রহমান।
প্রতিযোগীদের রান্না করা কারিবিসিএর সভাপতি পাশা খন্দকার আয়োজন সম্পর্কে বলেন, কারি শিল্প বিলেতে আমাদের বাংলাদেশিদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড। আমাদের পূর্বসূরিরা বাঙালি সম্প্রদায়ের বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসার মাধ্যমে। বিলেতে কারি শিল্পের উত্কর্ষ সাধন ও এই শিল্পসংশ্লিষ্ট মানুষের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি। বছরের সেরা শেফ নির্বাচন-প্রক্রিয়া নতুন প্রজন্মকেও কারি শিল্পের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
বিসিএর সভাপতি পাশা খন্দকারবিসিএর সহসভাপতি ও অ্যাওয়ার্ড কমিটির প্রধান অলি খানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশ নেন তাঁরা হলেন, কেন্টের তাজ কুইজিনের আবুল মনসুর, ব্রাইটনের পাভেল রেস্টুরেন্টের সাইয়েদ ফরিদ আলী, নর্থাম্পটনের বেঙ্গল ব্রাসারির ফেরদৌস আহমেদ, বেডফোর্ডশায়ারের ডোভারস আর্মসের লক্ষণ শ্রী, হার্টফোর্ডশায়ারের স্টার অব ইন্ডিয়ার জহিরুল ইসলাম, নিউপোর্টের থামারিন্ড রেস্টুরেন্টের জুয়েল, অক্সফোর্ডের টাইগার্স রেস্টুরেন্টের রব, ডকল্যান্ডের মেমসাব রেস্টুরেন্টের মৃদুল কান্তি দাশ, হার্টফোর্ডশায়ারের কুমিন বার রেস্টুরেন্টের সাজ্জাদ খান, গ্লোস্টারশায়ারের বেঙ্গল লাউঞ্জের সিদ্দিক আহমেদ, গ্রোব পার্কের সোনালি তান্দুরির আশরাফ আহমদ, মানচেস্টারের বে লিফ লাউঞ্জের দিলু মিয়া, হেমেল হামস্টেডের মারিয়ানা স্পাইস লাউঞ্জের আবদুল হাই, সারে এলাকার আস্টেড বালতির মোহাম্মদ আলী ও ব্রিকলেইনের মোহাম্মদ ইমরান আলী।
প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম এ মুনিম, মোস্তফা কামাল ইয়াকুব, এনাম চৌধুরী, মুজাহিদ আলী, দরস আহমদ, ফজল উদ্দিন, হেলাল মালিক, ফয়জুল হক, আলী বাবর চৌধুরী, চাইনিজ ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা জনসন ওয়াং প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন, ইউকে ব্রিটেনে কারি শিল্পের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে সংগঠনটি। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ডের কারি ব্যবসার সিংহভাগ বাংলাদেশিদের হাতে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের সংখ্যা লাখের ওপরে। আর ব্রিটিশদের রসনা বিলাসে কারি এক অপরিহার্য নাম। বিলেতে কারি শিল্পের এই অগ্রযাত্রার পুরোভাগে আছেন বাংলাদেশিরাই।

সৌজন্যে : প্রথম আলো