১১ অক্টোবর ২০১৪: ওরা ঘুরতে গিয়েছিলেন ব্রিটেনের অন্যতম বিখ্যাত দুর্গ ‘ডুডল ক্যাসেলে’। গোটা ক্যাসেলের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে প্রচুর ছবি তুলছিলেন। ঘরে এসে সেসব ছবি দেখতেই চক্ষুচড়ক গাছ ওদের। ঘটনাটা পুরো বলার আগে ওদের নামটা বলে ফেলা যাক। নাম ডিন হার্পার ও তাঁর স্ত্রী অ্যামি হার্পার। নিউজ ওয়েবসাই এক্সপ্রেস.কো.ইউকে(www.express.co.uk)তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওদের দাবি তারা ওই ডুডল ক্যাসেলে ভূত দেখেছেন। আর সেই ভূতের ছবি অজান্তেই ক্যামেরাবন্দি হয়ে গিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ধূসর রঙের পোশাক পরা এক মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছেন (ছবিতে)।
হার্পার দম্পতির তোলা সেই ছবি অনেকভাবে খুঁটিয়ে দেখার পরও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না যে ওটা কিসের ছবি। অনেকেবলছেন, ওই ছবিটা ভূত/আত্মা/অশরীরী কোনও কিছুর। দাবি, বিশ্বাস, অবিশ্বাসের কথা ছেড়ে আবার বরং ঘটনায় ফিরে যাওয়া যাক।
১০৭১ সালে তৈরি হওয়া ডুডলে ক্যাসেলকে হন্টেড হিসাবেই পরিচিত। অনেকেই বলেন, ওখান গেলে নাকি গা ছমছম করে। কেউ কেউ আবার ভয়ে যেতেও চান না। সেই ক্যাসেলের একেবারে ওপর থেকে মোবাইলের মাধ্যমে তোলা একটা ছবি নিয়েই তোলপাড় পড়ে গেল। হার্পার দম্পতির বিশ্বাস ছবিটা ভৌতিক কোনও কিছুর অস্তিত্ব প্রমাণ করছে। ৩০ অগাস্ট এই ছবিটি তুলেছিলেন অ্যামি হার্পার।
অ্যামিদের দাবি, ছবির সেই রহস্যময়ী আসলে ডরথি বেয়ামন্টের। যিনি ১৬৪৬ সালে মারা যান। মৃত্যুসজ্জায় ডরথি চেয়েছিলেন, তাঁর মরে যাওয়া শিশুর পাশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হোক। সঙ্গে চেয়েছিলেন, তাঁর অন্তেষ্টিক্রিয়ার সময় যেন স্বামী উপস্থিত থাকেন। কিন্তু ডরথির দুটি শেষ ইচ্ছার একটাও পূর্ণ হয়নি। সেই থেকেই নাকি অশরীরী হয়ে ঘুরছেন ডরথি। সেই ডরথির ছবিই নাকি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।
London Bangla A Force for the community…
