১১ অক্টোবর ২০১৪: কতটা নিষ্ঠুর হলে নিজের ভালবাসাকেও রান্না করে খেতে পারে কোনও মানুষ!!! অবাক হলেও পুলিসের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান শেফ মারকাস ভল্ক তাঁর গার্লফ্রেন্ডের শরীরের বিভিন্ন অংশ রান্না করেন।
খবরটি শুনলে আপনার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। মনে হতেই পারে এটা সম্ভব, একেবারে বানোয়াট। কিন্তু অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই এ পৃথিবীতে সত্য হয়ে ধরা দেয়। তেমনই এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটালেন এক অস্ট্রেলীয় শেফ। মার্কাস ভলকে (২৮) নামের ওই শেফ নিজের বান্ধবীকে খুন করে তার মাংস রান্না করেছেন!
অবশ্য রান্নার পর নিজেও আর বেঁচে থাকেননি। হয়ত অনুশোচনায় নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন তিনি। মার্কাসের বাড়ি থেকে পচা মাংসের দুর্গন্ধ আসায় প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মার্কাসের বাড়ির গ্যাস স্টোভে বসানো পাত্রে তার বান্ধবীর দেহের কিছু অংশ দেখতে পায়। বাকি অংশ জঞ্জাল ফেলার জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে মার্কাসের বান্ধবী ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে ছিলেন। তার নাম মিয়াঙ্গ প্রাসেটিও। সম্প্রতি মার্কাস তার বান্ধবীকে নিয়ে এই নতুন বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। মার্কাসের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও দিনও মার্কাসের আচরণে অস্বাভিক কিছু মনে হয়নি। বরং মিয়াঙ্গের সঙ্গে খুশিই ছিল মার্কাস। বড়দিনের সময় তার বাড়ি যাওয়ারও কথা ছিল। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল।
পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু ঠিক কোন সময়ে এই খুন ও আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছে, বুধবার থেকে সেই পচা গন্ধ মার্কাসের বাড়ির ভিতর থেকে আসতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গন্ধ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করে। শনিবার রাতে পুলিশ মার্কাসের বাড়ি যায়।
প্রতিবেশীরা পুলিশকে এও জানিয়েছেন, মার্কাসের বান্ধবী অত্যন্ত সুন্দরী ছিলেন। তবে তাকে নিয়ে মার্কাস নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে কখনও মনে হয়নি। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি কেন ঘটল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না প্রতিবেশীরা।