২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ : ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই। বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব ভুল। এমনটা দাবি করেছেন একজন বিজ্ঞানী। তিনি ইউনির্ভাসিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার প্রফেসর লরা মার সিনি-হগটন। পাশাপাশি তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। প্রমাণ দিয়েছেন গণিতের সাহায্যে। যদি তার এ সঠিক হয়, ব্ল্যাক হোল, বিগ ব্যাং তত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে বর্তমান বিশ্বের পদার্থবিজ্ঞানের অনেক সংজ্ঞা পাল্টে ফেলতে হবে। এতদিন বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে যে তত্ত্ব দিয়েছেন তা পাল্টে ফেলতে হবে। নতুন করে লিখতে হবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ইতিহাস। প্রফেসর লরা মার সিনি দাবি করেছেন, ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব নেই এমনটা তিনি গাণিতিকভাবে প্রমাণ করেছেন। একটি নক্ষত্রের যখন বিনাশ হয় তখন তা থেকে সৃষ্টি হয় যে বিষয়টি তাকে বলে সিঙ্গুলারিটি। তার মতে এমনটা হওয়া কখনওই সম্ভব নয়। এমন আবিষ্কারের ফলে তিনি নিজেই বিস্মিত হয়েছেন।
এর আগে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন যেসব নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে বড় সেগুলো তাদের নিজস্ব অভিকর্ষজ বলের কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর যখন তাদের বিনাশ ঘটে তখন সৃষ্টি হয় ব্ল্যাক হোল। এ প্রক্রিয়ায় তেজষ্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণ ঘটে। একে বলা হয় হকিং রেডিয়েশন। কিন্তু প্রফেসর লরা মারসিনির গবেষণায় বলা হচ্ছে, নক্ষত্ররা অতো বেশি ভর হারাতে পারে না এবং তারা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে পারে না। গতকাল অনলাইন ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ব্ল্যাক হোল নিয়ে এমন স্ববিরোধী বক্তব্য অনেকেই উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তবে এবার প্রফেসর লরা গণিত নিয়ে তার প্রমাণ হাজির করেছেন। প্রচলিত তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, ব্ল্যাক হোল হলো এমন একটি বিষয় যেখান থেকে আলোও মুক্ত হতে পারে না। সেখানকার ঘনত্ব থাকে অসীম। ফলে ব্ল্যাক হোলের আকর্ষণ ক্ষমতাও অসীম। এখানেই শেষ নয়। এ বছরের শুরুর দিকে প্রফেসর স্টিফেন হকিং পদার্থবিজ্ঞানকে চমকে দেন। তিনিও তখন বলেছিলেন ব্লাক হোল বলতে কিছু নেই। এর পরিবর্তে তিনি সেগুলোকে ‘গ্রে হোল’ বা ধূসর গহ্বর বলার পক্ষে মত দিয়েছেন।