দক্ষিণ ভারতের একটি আদালত বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের যৌন সক্ষমতা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, মাদ্রাজ হাইকোর্টের একজন বিচারক এন. কিরুবাকারন বলেছেন, বর্তমানে এই পরীক্ষা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, কারণ যৌন অক্ষমতা বা শীতলতার কারণে ভারতে প্রচুর বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে।
বিচারক বলেন, বিশেষ করে পুরুষরা অনেক সময়েই তাদের যৌন সমস্যার কথা গোপন করে বিয়ে করছে। আর এর মধ্য দিয়ে লঙ্ঘিত হচ্ছে নারীর সুস্থ জীবনযাপনের অধিকার।
তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের একজন বিচারকের এই প্রস্তাবের পর দক্ষিণ ভারতে স্বাস্থ্য ও সমাজ বিশেষজ্ঞরা এর সমালোচনা করেছেন।
সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যৌন সক্ষমতা যাচাইয়ের এই পরীক্ষা যথাযথ হবে না, বরং এটা হবে পরাধিকার চর্চা। কারণ যৌন সমস্যা প্রায়শই অল্প সময়ের জন্যে স্থায়ী হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এর পেছনে বহু ও নানাবিধ নানা কারণ থাকতে পারে। শুধু যৌন অক্ষমতা নয়, যৌনবাহিত রোগ শনাক্ত করতেও মাদ্রাজ হাইকোর্ট বিয়ের আগেই এই পরীক্ষা চালানোর কথা বলছে।
বিচারক বলেন, ডাক্তাররা যদি আগে থেকেই পরীক্ষা করে এই সমস্যা ধরতে পারেন তাহলে যৌন সমস্যা গোপন করে অক্ষম পুরুষদের বিয়ে করার ঘটনাও ঠেকানো যাবে।
যেসব পুরুষ তাদের যৌন দুর্বলতার কথা গোপন করে বিয়ে করছে ও হবু স্ত্রীদের প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যেও সরকারের কাছে এই বিচারক প্রস্তাব করেছেন।
সূত্র: বিবিসি