র্যাব-১ এর একটি দল সোমবার বারিধারার ডিওএইচএসের ৭ নম্বর লেনের ৪৪৮ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে বার জনকে আটক করেছে। তারা বিভিন্ন গার্মেন্টস মালিকসহ ধনাঢ্য ব্যাবসায়ীদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই বাসায় ডেকে আনতো। পরে অফিসের থাকা মহিলাদের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করার সুযোগ করে দিত। কৌশলে এসব দৃশ্য ভিডিও করা হতো। পরে আপত্তিকর অবস্থার সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হতো। আদায় করা হতো বিপুল অর্থ। কখনও কখনও অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে শারিরিকভাবে নির্যাতন এবং সাদা ষ্ট্যাম্পে স¦াক্ষর রেখে টাকা আদায় করত তারা। ওই বাসা থেকে আটককৃতরা হলো ওমর ফারুক (২০), আল ইমরান হোসেন (২৪), আতিকুর রহমান রায়হান (২৫), নিহার রঞ্জন দাস (২৫), মোন্তাছের রহমান রাজীব (২৩), তুহিন হোসেন (১৮), সাখাওয়াত হোসেন (৩৩), আনোয়ার হোসেন (৩৪), আল আমীন হোসেন (১৭), আইযুব আলী (৩৫), মঈনুল ইসলাম (২২) ও মোস্তফা (৩১)। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ওয়াজিবুল্লাহ মিলন প্রকাশ ওরফে তপু (৩৩) ও রিসাদ প্রকাশ ডিটাস (২৮) নামে দুই যুবক পালিয়ে গেছে। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন ছাত্রলীগ নেতাও রয়েছেন।
তারাই হলো এই অফিসের মালিক ও মূল হোতা। আটককৃতরা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। ওই অফিস থেকে ৩৮টি ব্ল্যাংক কার্টিজ, ১৫টি পাসপোর্ট, ১টি মটরসাইকেল, ২ বোতল ফেন্সিডিল, ১টি ম্যাগাজিন ও ১টি মেটাল ডিটেক্টর উদ্ধার করা হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, বায়িং হাউজের আড়ালে তারা এই ব্ল্যাকমেইলিং করতো। তাদের টার্গেট ছিল সমাজের বিত্তশালীরা। বিশেষ কারে গার্মেন্ট সেক্টরের বড় কর্মকর্তাদের তারা অফিসে নিয়ে নারী জড়িয়ে ব্ল্যাকমেইল করতো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এটা তো তাদের পুরাণ রোগ । নতুন ভাবে আবিস্কার। চ্যামপল হিসাবে কিছু উপস্থাপন করা হলো জাতির কাছে।