আগামীকালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ছাড়াই প্রায় ৮৫ জন রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটলে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিতেই এ প্রস্তুতি নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রোগীদের এ ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া রোগীদের অনেকেই এখনো বিছানায় কাতারাচ্ছেন।
এ নিয়ে রোগীদের মাঝে যেমন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা তেমনি সাধারণ মানুষের মাঝেও নানা দুশ্চিন্তা।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিনিয়ত মেডিসিন, সার্জারি, গাইনী ও শিশুসহ রোগী থাকে প্রায় দেড়শ’। এর মধ্যে রোববার হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা থেকে ২৭ জন, তৃতীয় তলা থেকে ২৬ জন এবং চতুর্থ তলা থেকে ৩০ জন রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয় বিভিন্ন বিভাগীয় চিকিৎসক।
সহিংস ঘটনার আশঙ্কায় ছুটিতে থাকা আয়া-ওয়ার্ড বয়, নার্স ও ব্রাদারদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল্যা জানান, ‘লক্ষ্মীপুর জেলা একটি স্পর্শকাতর জেলা। আগামীকাল (সোমবার) নির্বাচনকালীন সময়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সে জন্য রাজনৈতিক পলিসি গ্রহণ করলাম। আর এটি আমার নির্দেশে করা হয়েছে। কারণ সহিংস ঘটনার শিকার রোগীরা আসলে আমরা জায়গা দিতে পারবো না। এজন্য যাদের বেশি সম্যসা নেই তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। যাওয়ার পর কোনো সম্যসা হলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’
এছাড়াও আগামীকাল তিনিসহ ৫ জন চিকিৎসক ছাড়াও প্রত্যেক ওয়ার্ডে কনসালটেন্ট থাকবে বলেও জানান সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্যা। তিনি বলেন, ওয়ার্ড বয়, নার্স-ব্রাদারদের ছুটি নেই। তবে নির্বাচনের পরে ছেড়ে দেওয়া রোগীরা আবার ভর্তি হতে পারবে।’
সুন্দর ব্যবস্থা ও সুন্দর হিসাব খেলা দেখার অপেক্ষা আছি। ছেলে হারনো মায়ের কান্না দেখার আপেক্ষা আছি। জানি না আর কত এভাবে কাঁদবে ।