নির্বাচনে থাকলে ব্রান্ডেড দালাল হতাম
বিএনপি নির্বাচনে গেলে অবশ্যই জিততো
জাপার ভবিষ্যত্ অন্ধকার
সেনাপ্রধান হিসাবেই সফল ছিলাম, রাজনীতি আমার জায়গা নয়
সংসদে স্ত্রী বসে প্রথম আসনে, এটা আমার জন্য বিব্রতকর
‘আমার জীবনের ওপর বড় ধরনের হুমকি ছিল। নির্বাচনে থাকলে ওরা আমাকে মেরেই ফেলতো। মেরে ফেলতো আমার ছেলেকেও। আমার বাড়ি-ঘর, অফিস সব জ্বালিয়ে দিতো। আমি ওদের টার্গেট ছিলাম। এজন্যই নির্বাচন থেকে শেষ মুহূর্তে সরে গেছি। আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। এখন আমি আর কারও টার্গেট নই। জীবন নাশেরও হুমকি নেই। রাস্তায় একলা ঘুরে বেড়াই।’
গত ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে একেবারে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এভাবেই জবাব দিলেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে নিজের বারিধারার বাসভবন ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’- এ ইত্তেফাককে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাত্কারে এসব কথা বলেন তিনি।
এরশাদের কাছে প্রশ্ন ছিল ‘প্রায় ছয় মাস ধরে একটানা আপনি বলছিলেন- বিএনপিসহ সব দল না গেলে জাপাও নির্বাচনে যাবে না। এরপর ২৮ নভেম্বর আকস্মিকভাবে আপনার দল নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিল। ওইদিন আপনিও কেউ আসুক বা না আসুক-নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন। আপনিসহ আপনার দলের মনোনয়নপ্রাপ্তরা মনোনয়নপত্র দাখিলও করলেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ২ ডিসেম্বর, সেদিনও আপনি নির্বাচনে থাকার কথা বলেছেন। পরদিন হঠাত্ কেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন? এনিয়ে সর্বত্র যেমন নানা গুজব ও কথাবার্তা রয়েছে, তেমনি আছে রহস্যও। আসলে কেন সরে গেলেন?’
এই প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এটা বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। অনেকে মনে করেন, বৃহত্ কোনো শক্তির কথায় আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। কেউ বলছে আমি আওয়ামী লীগ বা কোনো একটি দেশ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছি। আসলে আমার সঙ্গে কোনো শক্তি ছিল না। কারও থেকে টাকাও নেইনি। আমি চোখের সামনে দেখছিলাম- একটি পাতানো নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে গেলে লোকে আমাকে জীবনের বাকিটা সময়ে ব্র্যান্ডেড দালাল বলতো। দালাল হয়ে মরতে হতো। আমি যখন গল্ফ খেলতে যেতাম সেখানেও অনেকে আমাকে বলেছেন-প্রচুর অর্থের বিনিময়ে আমি নির্বাচনে যাচ্ছি। ছি! ছি! নির্বাচনে গেলে আমি মুখ দেখাবো কীভাবে, সারাজীবন আমাকে মাথা নীচু করে থাকতে হতো। তাছাড়া আমার জীবনের ওপর বড় থ্রেট (হুমকি) ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল আমার ছেলেকে (এরিক) যেন স্কুলে না পাঠাই। পাঠালে ওকেও মেরে ফেলা হবে। আমি ওকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আমার বাড়িতে, অফিসে, মহাসচিবের (জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার) বাড়িতে, কাদেরের বাড়িতে (জিএম কাদের) এবং আনিসের (বর্তমানে পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ) বাড়িতে বোমা মারা হয়েছিল। নির্বাচনে থাকলে আমাকে মেরে ফেলতো। সবকিছু জ্বালিয়ে চারখার করে দিতো। সবচেয়ে বড় কথা, আমি রংপুরে যেতে পারতাম না। ওখানকার লোকজন আমাকে বলেছে-নির্বাচন করলে আপনি রংপুর আসতে পারবেন না, আপনাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। এসব কারণেই আমি নির্বাচন থেকে সরে গেলাম।
আপনি বলছেন “ওরা আপনাকে মেরে ফেলতো, এই ‘ওরা’ কারা?” এরশাদের জবাব, জামায়াত-শিবিরসহ অনেকেই হুমকি দিয়েছে। সবার নাম বলা ঠিক হবে না, ওরা অনেক ভয়ঙ্কর, আমাকে ডাইরেক্ট থ্রেট করে বলেছে-আপনার লাশ পড়বে। শুধু আমিই নয়, আমার দলের অনেক প্রার্থীও ওদের টার্গেট ছিল, কেউই এলাকায় যেতে পারছিল না। এটা তো ঠিক, তখন চারদিকে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও ও খুন-খারাবি হচ্ছিল, সরকারের হাতে নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছিল ওদের হাতে।
‘গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাতের কথা বলছি। বলা হয়েছিল, আপনি অসুস্থ-এই কারণে আপনাকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়েছে। পরে আপনার পক্ষে দাবি করা হয়, আপনি অসুস্থ ছিলেন না, আপনাকে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা দেখলাম-আপনি হাসপাতালে থেকে গল্ফও খেলছেন। আসলে বিষয়টা কি ছিল?’ এই প্রশ্নের জবাবে সাবেক সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদ বলেন, ‘যখন চূড়ান্ত হয়ে গেল যে, বিএনপি-জামায়াতসহ কিছুদল বাদ দিয়েই নির্বাচন হয়ে যাবে, আর আমি যখন সরে গিয়ে নির্বাচনের বিপক্ষে কথা বলছিলাম, তখন আমি যেন কথা বলতে না পারি, মিডিয়ায় কোনো কথা বলতে না পারি, কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারি- আমাকে ডিসকানেন্ট করার জন্যই ওখানে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমার সবগুলো মোবাইল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। হাসপাতালে থাকতে-থাকতে যখন অসহ্য হয়ে উঠেছি, তখন আমি গল্ফ খেলার সুযোগ পাই।’
‘আপনি বললেন-নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। যেভাবেই হোক নির্বাচনের পর আপনি সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নিয়েছেন, পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হলেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ও বিবৃতি দিয়ে কৃতজ্ঞতা-ধন্যবাদও জানালেন। বিষয়টা তো কেমন হলো না!’ এরকম প্রশ্ন রাখা হলে নীচের দিকে তাকিয়ে একটু ভেবে নিয়ে এরশাদ বলেন ‘হ্যাঁ, কেউ কেউ সন্দেহ করতে পারেন। কিন্তু কোনটিই যে আমি খুশি হয়ে কিংবা আগ্রহ নিয়ে করেছি, এটা একজন মানুষও বিশ্বাস করে না। সবাই এটা বুঝছেন যে, আমি সত্যিসত্যিই নির্বাচনে ছিলাম না। এটাই আমার ভালো লাগছে। যে কারণে মানুষ আমাকে এখন অন্তত বেইমান বা দালাল বলছে না।’
গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে আপনি বলেছেন, ‘জাপার মন্ত্রীত্ব নেয়া ঠিক হয়নি। না নিলে ভালো হতো। মন্ত্রিসভায়ও থাকার কারণে জাপা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারবে কি-না, তা নিয়ে অন্যদের মতো আমার মনেও প্রশ্ন আছে’, -তাহলে আপনার দলের ভবিষ্যত্ কি? জানতে চাইলে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, এটা আমি বিশ্বাস করি যে, জাপার সরকারে থাকা ঠিক হয়নি। আমি যখন সিএমএইচে ছিলাম, সেখান থেকে আমি রওশনকে (স্ত্রী রওশন এরশাদ) ৬-৭টি চিঠি লিখেছিলাম। হাতে লিখেছিলাম, চার-পাঁচটি বাক্যের চিঠি। আমি তাকে বলেছি, ঠিক আছে, যা হওয়ার হয়েছে, এই সময়ে তুমি দলকে ধরে রেখেছো-ভালো করেছো, তুমিই বিরোধী দলীয় নেতা হও-আমার দোয়া থাকবে, তবে আমাদের দলের কেউ যেন মন্ত্রী না হয়। ওইসব চিঠিতে আমি এটাও লিখেছিলাম, বিএনপি যেমন বিরোধী দল ছিল, খালেদা জিয়া যেরকম বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন, তোমরাও সেরকম পিওর বিরোধী দল থাকবে। তাহলে আমাদের দলের ভবিষ্যত্ ভালো হবে। কিন্তু তারা আমার কথা শুনলো না। তিনটা মন্ত্রীর জন্য ওদের কি লোভ! এই মন্ত্রীত্বের কারণে আমার দলটির ভবিষ্যত্ ফ্যাকাসে, অন্ধকার। আমরা যদি শুধু বিরোধী দল হিসেবে থাকতাম, তাহলে সামনে যে কী সুদিন ছিল! ইস! ওই বোকারা এটাই বোঝে না। কী হবে কয়েকদিনের মন্ত্রীত্ব করে!’
এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে আলাপকালেও আমি তাকে বলেছি, আমাদের এই মন্ত্রীগুলোকে বাদ দেয়া যায় না! দেখেন-সবাই সমালোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, “আমি চেয়েছিলাম-যেন সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবেই জাপা থাকে কিন্তু কী করবো, আপনার দল থেকে এতো চাপ দেয়া হলো যে, না করে পারিনি, যেহেতু করে ফেলেছি-এখন বাদ দিলে নতুন সমালোচনা শুরু হবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে দোষ দিই না।” আমার দল থেকেই সে (রওশন এরশাদ) প্রধানমন্ত্রীর কাছে আটজনের তালিকা দিয়েছিল মন্ত্রী করার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তিনি পলিটিক্যালি আগের তুলনায় অনেক ম্যাচিউরড্। দলটিকে (আওয়ামী লীগ) কত উপরে, কোথায় নিয়ে গেছেন। আমাকে বলেছেন, আপনি মাঝে-মধ্যে সংসদে আসবেন। আমি ওনাকে বললাম, আমার স্ত্রী বসেন প্রথম আসনে, আমি বসি দ্বিতীয় চেয়ারে। আমি তো সবসময় ফার্স্ট চেয়ারে বসার লোক, এটা তো আমার জন্য বিব্রতকর।’
‘আপনি বলছেন, জাপার কারও মন্ত্রী হওয়া ঠিক হয়নি। আপনি নিজেও তো মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। আপনার দলের নেতা ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীও কয়েকদিন আগে ইত্তেফাককে বলেছেন, অন্যদের সম্পর্কে বলার আগে এরশাদের উচিত মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। বিষয়টি একটু স্ববিরোধী মনে হচ্ছে না?’- এই প্রশ্ন করলে এরশাদ বলেন, ‘না, না। স্ববিরোধী নয়। আমি তো ওইরকম মন্ত্রী নই। এটা কোনো রাজনৈতিক নিয়োগও নয়। আর তাজুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে বলে কী ভাবে। আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন কুড়িগ্রাম থেকে আগে কখনও কেউ মন্ত্রী ছিল না। আমি তাজুলকে প্রথম মন্ত্রী করি। এরপর সে আমার দল ছেড়ে আরেক দলে গেছে, পরে বিএনপিতে গিয়ে ২০০৮ সালে আমার বিরুদ্ধেই নির্বাচন করেছে। এরপর ওয়ান-ইলেভেনের সময় সে চলে গেছে ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর পিডিপিতে। পরে অনেক অনুনয়-বিনয় করায় আমি আবার দলে ফিরিয়ে নিয়েছি। সে তো আমার প্রতিদ্বন্দ্বীও নয়, ওর সম্পর্কে আমি কী বলবো!’
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে কি ভূমিকা রাখার কথা ভাবছেন? জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা দেশের ও জনগণের জন্য। গতবারও আমাকে বিশেষ দূত করার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছিল। তখন করা হয়নি। এখন যখন করা হলো, তখন কী করতে পারবো জানি না। তারপরেও চেষ্টা করবো, সৌদিআরবে আমাদের জনশক্তির সমস্যাগুলো দূরীকরণে কাজ করতে। দুবাইয়ের ভিসা বন্ধ হয়ে আছে, সেখানেও আমি কাজ করতে পারি। রবিবার পররাষ্ট্র সচিব আমার সঙ্গে বসবেন। এরপর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও আমাকে ব্রিফ করবেন। তারপর সৌদিআরব, দুবাই যেতে পারি।’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো সঠিক ছিল, নাকি ভুল। এখন আপনার উপলব্ধি কি? এর উত্তরে এরশাদ বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমাদের সবাই নির্বাচন করলে হয়তো ৭০-৮০টা আসন আমরা পেতাম, আমিও বিরোধী দলীয় নেতা হতাম হয়তো। কিন্তু এতে কী লাভ! জনগণ আমাকে এখন দালাল বলতে পারছে না, এটাই আমার শান্তি। এটা ঠিক, জাপা ওভাবে থাকলে নির্বাচনটা আরও ভালো হতে পারতো। আবার আমাদের কেউ যদি নির্বাচনে না থাকতো, তাহলে ৫ তারিখের নির্বাচন হতো না, এটাও তো সত্য।’
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়টিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন? জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওটা ছিল বিএনপির গ্রেট মিসটেক। এখন তাদেরকে ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে। নির্বাচনে গেলে তাদের জয় ছিল হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত। খালেদা জিয়া তার ‘আপোসহীন’ ইমেজ ধরে রাখার জন্যই এই কাজ করেছেন। কিন্তু রাজনীতিতে বাতাস দেখে পাল ওড়াতে হয়। সময় ও পরিস্থিতির ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, রাজনীতিতে একবার ভুল করলে এর মাশুল হয় বড় কঠিন।’
‘বর্তমান সরকার কতদিন টিকবে কী টিকবে না, এনিয়ে নানাধর্মী বিশ্লেষণ আছে, রয়েছে অনুমান। আপনার ধারণা কি?’ এরশাদের জবাব, ‘এটা ঠিক, নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। মানুষ ভোট দিতে পারেনি বা দেয়নি। সেজন্য সরকারের বৈধতা নিয়েও বিতর্ক আছে। পুরো বৈধতা পেতে হলে এক-দুই বছরের মধ্যে একটি ভালো নির্বাচন দিতে হবে। তবে সরকার যদি আগের ভুল শুধরে ভালো কাজ করতে পারে, তাহলে পুরো মেয়াদে টিকেও যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ঠিক এক মাস ‘চিকিত্সা’ শেষে ১২ জানুয়ারি বাসায় ফেরা, এর মাঝে নির্বাচন অনুষ্ঠান, পরে এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হওয়া এবং সংসদ অধিবেশনে যোগদানসহ নানা ঘটনার পর এই সাক্ষাত্কারের মধ্য দিয়েই প্রথম মুখ খুললেন এইচএম এরশাদ। সাক্ষাতকারটি নেয়ার সময় জাপার মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় উপস্থিত ছিলেন।
রংপুরের উদ্দেশে যাত্রার জন্য বিদায় নেয়ার সময় এরশাদ বলেন, ‘জীবনের এই পর্যায়ে এসে আজ আমার এটাই উপলব্ধি যে, সেনাপ্রধান হিসেবেই আমি সফল ছিলাম। রাজনীতি আমার জায়গা নয়। সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড থাকে, প্রথম যোগ্যতা হতে হয় ভদ্রতা। আর রাজনীতিতে শুধু শঠতা আর অভদ্রতা।’
‘আমি কখনই শৃঙ্খলমুক্ত রাজনীতিবিদ ছিলাম না’
রংপুর প্রতিনিধি: জাতীয় পার্টির (এ) চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এইচএম এরশাদ বলেছেন, আমি কখনই শৃঙ্খলমুক্ত রাজনীতিবিদ ছিলাম না। এখনও শৃঙ্খলমুক্ত নই। দেশের কোন সরকারই আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার করেননি। আমার ওপর অন্যায়, অবিচার করা হয়েছে। ৯০ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর আমার নামে ৭৪টি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তা কমতে কমতে ২/৪টিতে এসে ঠেকেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চার দিনের জন্য রংপুর সফরে এসে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সব দলের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক – আমি সেটা চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। তাই সংবিধান রক্ষার স্বার্থে জাতীয় পার্টি (এ) নির্বাচনে অংশ নেয়। আর কিভাবে নির্বাচন হয়েছে তা সবাই জানেন। ফলে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক এটাই আমার দাবি। তিনি আরো বলেন, দেশে নানান ঘটনা ঘটেছে তারপরেও নির্বাচন হয়েছে। আমার শেষ ইচ্ছে ছিলো, রংপুরের এমপি হবো আল্লাহ তা আমাকে করেছেন।
KUB VALO LOGLO AI ROKOM JIBON T LEKA SOBSOMOY PAYA JAYNA BA CHAPTE VAYKORE APNADER NIVOY DILAM JOTO JHUSI AI ROKOM LEKE SOMAJKE SRINKHOLA MUKTO JIBONER UPHAR K POJONMO POROM PORAY AGIYE NIYE JETE PARLE TOBEY MANUS GORAR SOMGORAR SARTOKA BECHE THAKBE AR AD
KHUB VALO