হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচি আর নয়। এবার সংলাপ ও সহনীয় কর্মসূচির মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন ‘প্রক্রিয়া’ শুরুর আহ্বান জানাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
পাশাপাশি জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের ব্যাপারেও দল ও জোটের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন তিনি। একই সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে জোটের পর্যবেক্ষণও তুলে ধরবেন বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে। এসব ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনসহ বেশ কিছু বিষয়ে জাতির সামনে দল ও জোটের অবস্থান ব্যাখ্যা করার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বুধবার বিকেল ৪টায় গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে হবে এ সংবাদ সম্মেলন। দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিএনপি নেত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতের বৈঠকে জোটের একাধিক নেতা অবরোধ-হরতাল অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিলেও সেদিকে আপাতত যাচ্ছেন না বিএনপি নেত্রী। বিএনপির দলীয় সূত্রগুলি বলছে, অবরোধ-হরতাল করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হলেও কার্যত কোনো লাভ হয় নি তাদের। এ জন্য আন্দোলনে ভিন্নতা এনে সভা-সমাবেশ, মিছিল মিটিংয়ের মতো সহনীয় কর্মসূচি দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি জোট। এতে যেমন জোট আন্দোলনে থাকবে তেমনি জনদূর্ভোগ না থাকায় জনমতও বাড়বে জোটের পক্ষে। তবে বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা হবে না।
সূত্রগুলি আরও বলছে, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের মতামতের যে বাস্তব প্রতিফলন হয়নি সে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে জোরালোভাবে তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাতেও তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাবেন। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে তাকে যেতে না দেওয়া এবং গৃহবন্দি করে রাখার বিষয়গুলিও তুলে ধরে খালেদা জিয়া বিচারের ভার দেবেন দেশের মানুষের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি ও জোটের সম্পর্কের ব্যাপারেও বক্তব্য তুলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে জামায়াতকে এখুনি ত্যাগ করার মতো কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে না। তবে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ না করার ব্যাপারে বিএনপির দলীয় যুক্তি তুলে ধরবেন খালেদা জিয়া।
এ প্রসঙ্গে জোটের অন্যতম শরীক এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ জানান, সোমবার রাতে জোটের বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনের সফলতা ব্যর্থতা নিয়েও সবাই খোলাখুলি কথা বলেছেন। আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে এটা মনে করে না ১৮ দলীয় জোট। বরং ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ না করাটাই আন্দোলনের সফলতা বলে মনে করি আমরা। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ই তুলে ধরবেন জোটনেত্রী। পাশাপাশি গঠিত সরকারকেও আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করা হবে। অলি আহমদে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রকেও আহ্বান জানানো হবে এই সরকারকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করতে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে খালেদা জিয়া সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলন করে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
Bnp teke jamaat e islami k alada korte parlei awamiliger shopner joy hobe,,,,tokon bnp jamat teke durbol hobe,,,,,shek hasinar sei aopno ki bnp puron korbe