যেসব অভিবাসী বৃটেনে নির্দিষ্ট মেয়াদের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করবেন তাদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) আওতা থেকে বাইরে রাখা হবে। তারা কাজ করার অধিকার হারাবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিজিটাল ভিসার যে পরিকল্পনা করছে তার সুবিধা ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবেন। ডিজিটাল ভিসা করার মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা, সুবিধা এবং কাজ করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এমনই একটি নতুন ভিসা চালু করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এই পরিকল্পনায় ডাটা সম্পন্ন হয়ে গেলে তা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এবং তৃতীয় পক্ষ যেমন নিয়োগকারীদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে। ফলে অবৈধ অভিবাসী কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে সরকার।
সরকারের এই পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার। এতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ভিসা ২০২৫ সাল নাগাদ চালু করার পরিকল্পনা করছে বৃটিশ সরকার। ভিসার এই ডিজিটালাইজেশন করার মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরতদের কাছে ডাটা শেয়ার করা সহজ হবে। এর ফলে কোনো ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে একেবারে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। ফলে অবৈধ অভিবাসীরা আর বৃটেনে অবস্থান করতে পারবেন না। একজন অভিবাসী কাজের সুযোগ এবং বাসা ভাড়া নেয়ার সুযোগ পাবেন কিনা তাও অনলাইন সার্ভিসে জানা যাবে। এভাবে ডাটা শেয়ার করার মাধ্যমে ডিডব্লিউপি অভিবাসীর আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষা করতে পারবে। একই রকমভাবে চাকরিতে আবেদনকারীকে তার অবস্থানগত মর্যাদাও প্রমাণ করতে হবে না। কারণ, নিয়োগকর্তারা তার সম্পর্কে তথ্য আগেভাগেই পেয়ে যাবেন। সরকার মনে করছে ভিসা ডিজিটালাইজ করা হলে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত হবে এবং খরচ কম হবে। পরিচয়ের ডকুমেন্ট জাল করা কমে যাবে।