ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও নাশকতার মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
পল্টন থানার এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাহিদুল আলম বৃহস্পতিবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি করে তিন দিন মঞ্জুর করেন।
রফিকুল ইসলামের পক্ষে এদিন কোনো আইনজীবী শুনানিতে ছিলেন না। তাকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত দেখানো হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানান।
‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাদানীর বিরুদ্ধে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। পরে মামলায় পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি ধারা যুক্ত করে পুলিশ।
ওই মামলায় গত ৭ এপ্রিল মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন তাকে গাজীপুরের গাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থানার দুটি মামলায় মাদানীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে ঢাকার মতিঝিল থানার দুই মামলায় ১১ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১০ মে তাকে পাঠানো হয় কারাগারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন ঘিরে ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে পরে আবার ছেড়েও দিয়েছিল।
ওই ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। একই দিন পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে নাশকতার এই মামলা হয়।
গাজীপুর মহানগরের বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে মারকাজুন নূর আল ইসলামিয়া নামে একটি আবাসিক মাদ্রাসা রয়েছে। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদনী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক।
London Bangla A Force for the community…
