বগুড়ার শাজাহানপুরে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদেরকে ফাঁসানো ও সরকারি অনুদান গ্রহনের জন্য নিজ বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক । এ ঘটনার পর স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থক বলে স্থানীয়রা জানায়।
জানা যায় , শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান (৫০) মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে পৌছে সকাল ১০ টায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ( দপ্তরী ) বাব ুমিয়াকে স্কুলের পাশে চেয়ার, টেবিল, ও বেঞ্চ নিয়ে যেতে বলে। প্রধান শিক্ষকের কথা মত বাবু মিয়া স্কুলের পাশে উপরোক্ত আসবারপত্র নিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক সেই আসবারপত্রে কেরাসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । সাথে সাথে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। এ সময় স্থানীয লোকজন আগুন দেখে ঘটনাস্থলে গেলে প্রধান শিক্ষক দ্রুত বিদ্যালয়ের রুমে চলে যায় । তখন উওেজিত জনতা প্রধান শিক্ষকের রুমের দিকে গেলে সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জনতা তাকে আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখে ।
উওেজিত জনতা কেন স্কুলের আসবারপত্রে আগুন দেয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক বলেন ,আমি কেন স্কুলের জিনিসে আগুন দেমো (দেব) ,এটা বিএনপি জামায়াতের লোকজন দিয়েছে । এরপর জনতার চাপে স্কুলের দপ্তরী বাবু মিয়া স্বীকার করেন, প্রধান শিক্ষক তাকে দিয়ে আসবাবপত্র বাইরে নিয়ে নিজে আগুন দিয়েছে ।
কেন আগুন দিলেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাকে ধমক দিয়ে বলে, তুমি বুঝবা না উপরের চাপ আছে। ঘটনা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটেঁ যান সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য । তারা উওেজিত জনতাকে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত করেন । তারপর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে পুলিশকে প্রধান শিককে আটকের নির্দেশ দেন । তখন পুলিশ প্রধান শিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিকেল সাড়ে ৪টায় এ নিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন মহলের জোর তরবির চলছে ।
এ ব্যাপারে থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান. প্রধান শিকের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে উর্দ্ধতন কর্তপ যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমি সেটাই করবো ।
shala BAL er supporter. Juta maro shalar kopale…