ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলেরে মধ্যে দুটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংঘাতের একমাত্র সমাধান বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটন সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে জানা গেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে অন্য দেশের সঙ্গে মিলে বড় ধরনের সহায়তা প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাইডেন বলেন, ইসরায়েলিদের ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি যাতে অব্যাহত থাকে, সেজন্য তিনি প্রার্থনা করছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে টানা ১১ দিনের সংঘাতের পর শুক্রবার থেকে চলছে যুদ্ধবিরতি, যার পেছনে কুশীলব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রেখেছে।
বাইডেন বলেন, হামাস যাতে অস্ত্রের মজুদ না গড়তে পারে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি দখলে থাকা ওয়েস্ট ব্যাংকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ওই অঞ্চলে সহায়তা দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট করা দরকার; একটি স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্ব যতদিন না ওই অঞ্চলের স্বীকৃতি পাবে, ততদিন কোনো শান্তি আসবে না।’
ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল দীর্ঘ দিন ধরে জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে ভাগাভাগি করে ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের ধারণাকে সামনে রেখে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইহুদি দেশ ইসরায়েল। টানা ১১ দিন গাজায় সহিংসতা চালানোর পর ইহুদি রাষ্ট্রটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দল, গাজা, হামাস এবং ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়। আর গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে ‘বিজয়োল্লাস’করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পর এটাই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। গাজায় সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শিশু এবং ৩৬ নারী রয়েছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১২ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
London Bangla A Force for the community…
