ব্রেকিং নিউজ
Home / বিশ্ব / হামাসকে সমর্থন না করায় আল-আকসার মুফতিকে বহিষ্কার

হামাসকে সমর্থন না করায় আল-আকসার মুফতিকে বহিষ্কার

 

গাজা উপত্যকার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে সমর্থন করে বক্তব্য না দেয়ায় জেরুসালেমের ফিলিস্তিনি মুফতি শেখ মোহাম্মদ হোসাইনকে আল-আকসা মসজিদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আল-আকসার মুসুল্লিরাই এই পদক্ষেপ নেয়। এছাড়া তাকে তার নির্ধারিত খুতবাও দিতে দেয়া হয়নি। এটি একটি নজিরবিহীন উদ্যোগ।

বিক্ষোভকারীরা হামাসের সমর্থনে স্লোগান দেয়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পৃক্ত থাকার জন্য হোসাইনের নিন্দা করে।

আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে হোসাইনকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে সিনিয়র প্রতিনিধি বিবেচনা করা হয়। পূর্ব জেরুসালেমের বাসিন্দা হোসাইন ইসরাইলের ইস্যু করা আইডি কার্ড ব্যবহার করেন। তাকে প্রায়ই সরকারি অনুষ্ঠানে পিএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশে দেখা যায়।

বিক্ষোভকারীরা হামাস ও গাজা উপত্যকাকে ‘অগ্রাহ্য’ করায় হোসাইনের সমালোচনা করেন, তাকে তার খুতবা দেয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেন।

মুফতির দেহরক্ষীরা যখন তাকে মসজিদ থেকে সরিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন ক্রুদ্ধ মুসল্লিরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমরা মোহাম্মদ দেইফের লোক।’

দেইফ হলেন হামাসের সামরিক শাখা ইজাজউদ্দিন আল-কাসাম ব্রিগেডের সুপ্রিম কমান্ডার। অন্যান্য মুসল্লি এসময় চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘চলে যাও, চলে যাও, আমরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কুত্তাদের দেখতে চাই না।’

মুসল্লিরা তাদের ভাষায় হামাসের ‘বিজয়’ উদযাপনের জন্য হাজারে হাজারে আল-আকসা কম্পাউন্ডে জড়ো হওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
উদযাপনের শেষ দিকে কয়েকজন তরুণ পুলিশ অফিসারদের লক্ষ্য করে পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এসব পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করছিল উদযাপনকারীদের ওপর।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসা দলের সদস্যরা জানান, এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

এই পবিত্র স্থানের প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছে জর্ডানি সরকারের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ। তবে পিএ ও ইসলামিক মুভমেন্ট ইন ইসরাইল ও হিজবুত-তাহিরর (পার্টি অব লিবারেশন)সহ অন্যান্য পক্ষের এই স্থাপনায় প্রতিনিধি রয়েছে।

অতীতেও আল-আকসা মসজিদ সফর করতে যাওয়া পিএ কর্মকর্তাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অভিযুক্ত করে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।

পিএ কর্মকর্তারা মুফতি হোসাইনের ওপর আক্রমণের নিন্দা করে ইসরাইলি ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে মুসজিদটি রক্ষায় তার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। কর্মকর্তারা ২০১৭ সালে মুফতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করেন। ওই সময় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ কম্পউন্টের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর গেট স্থাপন করতে চাইলে মুফতি তার বিরোধিতা করেন। ফলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ওই পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়।

পিএ প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়া বলেন, মুফতির ওপর হামলা পবিত্র স্থান ও জাতীয় ঐক্যের ওপর আক্রমণ।
আর আব্বাসের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদ আল-হাব্বাশ আক্রমণের নিন্দা করে বলেন, ভাড়াটে লোকজন দখলদারিত্বের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট