মাদারীপুরের শিবচরে ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
মাদারীপুরের শিবচরে ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেপ্রথম আলো
মাদারীপুরের শিবচরে ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দাদন আকন তাঁর এলাকা থেকে তাঁর সমর্থকদের নিয়ে শিকদারবাড়ির মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। একই মসজিদে আমিন শিকদারের লোকজন নামাজ আদায় করতে গেলে দাদনের লোকজন তাঁদের বাধা দেন। মুহূর্তেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। এতে নারীসহ আহত হন ১০ জন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আমিন শিকদার অভিযোগ করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাদন আকনদের সঙ্গে ছিলাম। তাঁরা আমাদের লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। তাই এবার ঈদে আমরা তাঁদের সমাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য সমাজে নামাজ আদায় করতে যাই। এ নিয়ে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করেছেন। হামলায় আমাদের লোকজনই বেশি আহত হয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে দাদন আকন বলেন, ‘আমিন শিকদাররা আমাদের সমাজ ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। আমরা তাদের কাছে টাকা পাব। আমাদের সমাজে যেহেতু তারা থাকবে না, তাই আমি আমার পাওনা টাকা চাইছি। আর এই কারণেই তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।’
জানতে চাইলে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আহত কয়েকজনকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। দুই পক্ষের কেউ এখনো থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।