বিগত দশ বছর ধরে, কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টির বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে চলা ছায়ানট (কলকাতা)-র এবারের উদ্যোগ হায়দ্রাবাদ নজরুল সম্মেলন। সহ-আয়োজক বাঁশরী (বাংলাদেশ), যারা বিগত ৫ বছরের বেশি সময়ে ধরে, নজরুলের সৃষ্টিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে চলেছে।
বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শ্রীমতি সোমঋতা মল্লিকের পরিকল্পনা ও পরিচালনায়, আগামী ২রা ও ৩রা নভেম্বর, প্রথমবারের মতো হায়দ্রাবাদের বানজারা হিলসের লামাকানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নজরুল-ভিত্তিক এই সম্মেলন, আয়োজনে ছায়ানট (কলকাতা), বাঁশরী (বাংলাদেশ) ও সার্বিক সহযোগিতায় সুর ও ধ্বনি ফাউন্ডেশন, যারা হায়দ্রাবাদে বঙ্গমেলারও আয়োজক গোষ্ঠী। দুই তারিখ সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও অবসরপ্রাপ্ত আইএএস শ্রীমতি চন্দনা খান। দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে হায়দ্রাবাদের শিল্পীরা ছাড়াও, কলকাতা ও বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীরা পরিবেশন করবেন নজরুলসঙ্গীত, নজরুলের লেখা কবিতাপাঠ, নৃত্যানুষ্ঠান ছাড়াও নজরুলের সামগ্রিক জীবন নিয়ে নির্মিত একটি সুবৃহৎ তথ্যচিত্র।
প্রথম দিন বাংলাদেশ ও কলকাতার শিল্পীদের দ্বারা সাজানো অনুষ্ঠানে থাকছে বাংলাদেশ থেকে আগত সিদ্ধার্থ গোলদার, আশীষ কুমার শীল ও তারক নট্টের সঙ্গীত পরিবেশনা এবং কলকাতা থেকে আগত দর্পনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘পুনশ্চ’ গোষ্ঠীর পরিবেশনা। এছাড়াও, ওই দিন নজরুলের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করবেন হায়দ্রাবাদের শিল্পী সুপ্রীতি চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে থাকবে ছায়ানট (কলকাতা)-র সভাপতি সোমঋতা মল্লিকের সঙ্গীতানুষ্ঠান। ৩রা নভেম্বর, সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষদিনে থাকছে হায়দ্রাবাদের শিল্পী পৌলমী গুপ্ত, রুমা সেনগুপ্ত ও অনুভব চ্যাটার্জী। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করবে ‘হিন্দোল ড্যান্স গ্রুপ’-এর তৃপ্তা ঘড়াই, স্বস্তিকা চক্রবর্তী, ঋষিতা বিশ্বাস ও সুদেষ্ণা সামন্ত। ওইদিনের অনুষ্ঠান শেষ হবে কলকাতার মুজিবর রহমান দ্বারা নির্মিত ‘নজরুল জীবন পরিক্রমা’ শীর্ষক একটি সুপ্রশংসিত তথ্যচিত্র দেখানোর মাধ্যমে।
হায়দ্রাবাদের প্রথম এই নজরুল সম্মেলনের আগেও বেশ কিছু উদ্যোগে এক সাথে সামিল হয়েছে ছায়ানট (কলকাতা) ও বাঁশরী (বাংলাদেশ)। আমাদের বিশ্বাস, কলকাতা বা বাংলাদেশ ছাড়াও, অন্যান্য শহর বা অন্যান্য দেশে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়বে নজরুলের বিভিন্ন সৃষ্টি।