অন্যদিকে, অনন্যার পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত শুনানির পর কোনরকম যোগাযোগ করা হয়নি। শুধুমাত্র আদালতে এলেই রুমি নাকি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন। এছাড়া আপসনামার কোন শর্তই পূরণ করেননি রুমি। দুই পক্ষের শুনানি শেষে মামলার পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় আগামী ১৯ জানুয়ারি। কারণ এখনও পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানা থেকে রুমির বিরুদ্ধে চার্জশিট এসে পৌঁছায়নি আদালতে। শীঘ্রই চার্জশিট পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে আদেশ দেওয়া হয়। এ কারণে রুমির জামিনও পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির পর আজ ছিল পরবর্তী ধার্য তারিখ। সকালেই আদালতে উপস্থিত হন রুমি ও অনন্যার পরিবার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যা বলেন, গত তারিখের পর রুমির পরিবার থেকে কোনোরকম সাড়াশব্দ পাইনি। উল্টো আমাদেরকে শাসানো হচ্ছে। এর আগে আদালত থেকে বলা হয়েছিল আমি যেন রুমিদের বাসায় গিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও বইগুলো অনতে পারি। অথচ আমাকে তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। এমনকি আমার উকিলকেও বকাঝকা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সন্তান (আরিয়ান) গত বৃহস্পতিবার তার বাবার (রুমি) সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা পোষণ করে। এজন্য তাদের বাসায় ফোন দেই। আমার সঙ্গে কথা না বললেও আরিয়ানের সঙ্গে রুমি কথা বলেছে। ভালোভাবে কথা বলা তো দূরের কথা, আমার বিরুদ্ধে আরিয়ানের কাছে বাজে মন্তব্য করেছে। যা লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আমরা শুনতে পাই। এতোটুকু একটা বাচ্চার কাছে রুমি বলে, “তোমার মা (অনন্যা) একটা খারাপ নারী। ওর সঙ্গে থেকো না। ওকে ঘৃণা করো।” যে ব্যক্তি নিজের সন্তানের কাছে এসব কথা বলতে পারে তার কাছে আর কি আশা করা যায়!
রুমির সঙ্গে পুনরায় একই ছাদের নিচে বসবাস করবেন কি না জানতে চাইলে অনন্যা আরও বলেন, তাকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন। এককথায় যেকোন সময় রুমি ডিগবাজি মারতে পারে। আগে আমার শর্ত পূরণ করবে। তারপর চিন্তা-ভাবনা করবো সন্তান নিয়ে তার ঘরে ফিরবো কিনা। শর্ত পূরণ না হলে আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকবো।
এদিকে আরফিন রুমি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অনন্যা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। যদি সে জনসম্মুখে স্বীকার করে আমার বিরুদ্ধে যা বলেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা, তবেই আমি তার সঙ্গে নতুন করে ঘর করার চিন্তা করবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, অনন্যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আপসনামায় উল্লেখ ছিল, সন্তান আরিয়ানের ভরণপোষণের জন্য রুমি অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করবে, যা ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখা হবে। এ ছাড়া অনন্যার সঙ্গে সে আর খারাপ ব্যবহার করবে না। অধিকার দিবে স্ত্রীর প্রকৃত মর্যাদার। সবচেয়ে মজার কথা, অনন্যারা তাদের কাছে যায়নি। রুমির গোটা পরিবার অনন্যাদের বাসায় গিয়ে অনেক কাকুতি-মিনতি করে রুমির জামিনের জন্য অনুনয়-বিনয় করেন। এমনকি এসব শর্তাবলী লেখার সময় সিডি চয়েজের এমদাদ, প্রিন্স, কাজী শুভ, ইলিয়াস, খেয়া, আরমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রুমির ব্যান্ড দলের মামুন, লিটন ও শান্তরাও ছিলেন। এরাও এ শর্ত সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।