রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে সিলেট মহানগর শিবিরের প্রচার সম্পাদক সুহেল আহমদের পা ভেঙে দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ তুলে ফেলেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এমন অভিযোগ করেছেন সুহেলের পরিবার। অভিযোগে বলা হয়, গত শনিবার নগরীর বারুতখানা থেকে সুহেলকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় সুহেলের বাবা কোতোয়ালি থানায় ছেলের শীতের কাপড় নিয়ে গেলে তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন থানার ওসি। এরপর রাতভর ওসি আতাউর রহমান, এসআই নাজিম, এসআই রাজিব ও কনস্টেবল আল আমিন মিলে শারীরিক নির্যাতন চালান সুহেলের ওপর। বেধড়ক মারধরের কারণে তার ডান পা ভেঙে গেছে। তার পা ও শরীর ফুলে গেছে। রাতভর নির্যাতন করে গত রোববার সুহেলকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দুইজন পুলিশের কাঁধে ভর করে হাঁটতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কোনো নির্যাতন করেনি। পুলিশের ওপর হামলা করে মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় ড্রেনে পড়ে দেয়ালে লেগে পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই তাকে কোর্টে পাঠানো হয়।
এ দিকে পুলিশের এমন নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর শিবিরের সভাপতি আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুক আহমদ। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, আটক বন্দীদের ওপর নির্যাতন মানবাধিকারের পরিপন্থী। এর মাধ্যমে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করা হয়েছে। তারা সুহেল আহমদকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কোনো নির্যাতন করেনি। পুলিশের ওপর হামলা করে মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় ড্রেনে পড়ে দেয়ালে লেগে পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই তাকে কোর্টে পাঠানো হয়।
এ দিকে পুলিশের এমন নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর শিবিরের সভাপতি আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুক আহমদ। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, আটক বন্দীদের ওপর নির্যাতন মানবাধিকারের পরিপন্থী। এর মাধ্যমে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করা হয়েছে। তারা সুহেল আহমদকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
উৎসঃ নয়া দিগন্ত