বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল দেওর। অভিযোগ, বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে স্ত্রীকে ডিভোর্সের জন্য চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত দেওর। কিন্তু স্বামীর চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি গৃহবধূ। পরিণতি হল মর্মান্তিক। জায়ের সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের জেরে খুন হয়ে গেলেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পালপাড়ায়। এই ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন।
মৃতার নাম নন্দিনী সাউ। বয়স ২৩ বছর। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পালপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব সাউয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় নন্দিনীর। অভিযোগ, বিয়ের সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই অশান্তি শুরু হয়ে যায়। বিয়ের ৮ দিন পর থেকেই বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য স্ত্রী নন্দিনীর উপর অত্যাচার শুরু করে সঞ্জীব। বিয়ের যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা ও চারচাকা দাবি করে সঞ্জীবের পরিবার। দিন দিন বাড়তে থাকে নন্দিনীর উপর তাদের অত্যাচারের মাত্রা। শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের হেনস্থা হওয়ার খবর পেয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা সঞ্জীবের হাতে তুলে দেন নন্দিনীর বাপের বাড়ির লোকেরা।
কিন্তু তাতেও অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছে বই কমেনি। অভিযোগ, দিন দশেক আগে থেকেই ডিভোর্স পেপারে সই করার জন্য স্ত্রী নন্দিনীকে চাপ দিতে শুরু করেন স্বামী সঞ্জীব। ইতিমধ্যে জায়ের সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূর্ত সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে গেছে নন্দিনীর মাত্রা। স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে ডিভোর্স পেপারে সই করতে বেঁকে বসেন নন্দিনী। আর তারই ফল হল মর্মান্তিক।
বৃহস্পতিবার রাতে নন্দিনীর শ্বশুর তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করেন। ফোনে নন্দিনীর মা প্রভা দেবীকে তিনি জানান, তাঁর মেয়ে ঘরের দরজা খুলছে না। খবর পেয়েই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান নন্দিনীর বাপের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে না পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তাঁরা। হাসপাতালে গিয়েই নন্দিনীর মৃত্যুর খবর পান তাঁরা।
নন্দিনীর বাপের বাড়ির লোকেরা দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের সময় শেষবার তাঁদের মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাঁরা। তারপরই তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় রিজেন্ট পার্ক থানায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে নন্দিনীর বাপের বাড়ির লোকেরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক সঞ্জীব ও তাঁর পরিবারের লোকেরা।