২৪ মার্চ, ২০১৬: মোবাইল সিমের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করা না হলে সেই সব সিম পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল আগ্রাবাদে বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এ্যারিকসন কোম্পানির ‘লণ্চ অব ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) পোর্টাল ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যেসব মোবাইল সিমের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না সেই সব সিম প্রথমে দুই-চার ঘন্টার জন্য সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হবে যাতে গ্রাহক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। এরপর পর্যায়ক্রমে অনিবন্ধিত সিমগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি জানান, মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি বা এমএনপি এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে চালু করা হবে। এর গাইড লাইন সংশোধন করা হচ্ছে পুরো প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করার জন্য, এছাড়া মোবাইল ফোনে কল ড্রপের বিষয়ে বিটিআরসির মনিটরিং আরো জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে।
তারানা হালিম জানান, টেলিটকের নেটওয়ার্ক আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে টেলিটকের জন্য সহজ শর্তে ঋণ নেয়া হবে। এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এর জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্য অপারেটরের তুলনায় বাড়তি সুবিধা দেয়া হবে না।’
এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হলে টেলিটকের অবস্থা পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। ইতোমধ্যে মানুষের সঙ্গে ইন্টারনেটের সম্পৃক্ততা হয়েছে। এবার যন্ত্র এবং বস্তুর সাথে সংযোগের কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশের সমস্ত বিজনেস, ফ্যাক্টরি, মানুষ ও রাজপথ সবকিছু সংযোগের আওতায় আসবে।’
তারানা হালিম আরো বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের মূল্য বিশ্বের তুলনায় কিছুটা কম। সরকারের রাজস্বের ক্ষতি না করে এই মূল্য কিভাবে আরো কমানো যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’