১০ মার্চ ২০১৬: রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দু’জন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, চুরি হওয়া পুরো টাকা ফিরিয়ে আনতে সব ধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এবং তারা আশাবাদী টাকা ফেরত আসবে।
ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমসিএল) জানায়, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ পাচারের অভিযোগে ছয় ব্যক্তি ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে এদের সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক হিসাবও।
এএমসিএল বলছে, হ্যাকাররা চুরি করা অর্থ ক্যাসিনোতে ব্যবহার করায় পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে আছে। ক্যাসিনো অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় পড়ে না। তাই প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার কীভাবে আদায় হবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভের যতটুকু যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে জমা ছিল তার একটা অংশ সাইবার হামলায় চুরি হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয় সেই অনলাইন ব্যবস্থা সুইফট। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে তাদের সুইফট অপারেশন।