৮ মার্চ ২০১৬: আজ বাছাই পর্বের লড়াই দিয়ে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০১৬ এর। যেহেতু এই ফরমেটে বাংলাদেশ দলের র্যাঙ্কিং এখনও ১০ তাই আইসিসি’র বাহারি নিয়মে বাছাই পর্ব খেলতে হচ্ছে টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকেও। তাদের প্রতিপক্ষ আইসিসি’র ৪টি সহযোগী দেশ। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও ওমান। আর ‘বি’ গ্রুপে জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড, হংকং ও আফগানিস্তান। আজ নাগপুরে জিম্বাবুয়েকে সহযোগী দেশ হংকংয়ের বিপক্ষেই পরীক্ষা দিতে নামতে হচ্ছে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ড ও আফগানিস্তান লড়বে একই ভেন্যুতে। দুপুর ৩ টা ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ম্যাচ দু’টি মাঠে গড়াবে। কালই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ভারতের কাছে হারলেও তাদের মাটিতে আজ উপস্থিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরমেটের অন্য এক বাংলাদেশ। যারা যে কোনো দলকে নিজ দিনে উড়িয়ে দিতে পারে তারই প্রমান রেখে গেছে টি-২০’র বেশি চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে। ফাইনালে হেরে গেছে বলে কি থেমে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট! না অধিনায়ক মাশরাফি বলেই দিয়েছেন- ‘হেরে গেলেই থেমে যাবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট।’
তবে টাইগারদের জন্য ধর্মশালায় অপেক্ষা করছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি হলো উইকেট ও কন্ডিশন। পাহাড়কন্যা ধর্মশালাতে এখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। দিনের বেলাতে ১০ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও রাতে তা নেমে যায় ৮-এ। তাই হঠাৎ করে এসেই এমন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যে খুব সহজ হবে না তাতো সহজেই অনুমেয়। কিন্তু টাইগার অধিনায়ক অবশ্য সব কিছু জয় করার প্রত্যয় নিয়ে বলেন, ‘এটা তো আগে থেকে ঠিক হয়েই ছিল। এশিয়া কাপ ভালো খেলেছি বলে এখন প্রশ্ন আসছে। কিন্তু সেটআপ তো আগে থেকেই ছিল। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। এটা একটা প্রক্রিয়া, সেটার ভেতর দিয়ে যেতে হবেই। ভালো খেলছি, ভালো খেললে বিশ্বকাপের বাছাইয়েও ভালো করবো।’
বাছাই পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কাল দুপুরে নেদারল্যান্ডস। এরপর ১১ই মার্চ মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৩ই মার্চ বাছাই পর্বের শেষ খেলা ওমানের বিপক্ষে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাশরাফি বাহিনীকে খেলতে হবে সুপার টেন পর্বে। তবে কলকাতার সুপার টেন পর্বে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ হবে পাকিস্তান। সেখান থেকে ব্যাঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, তৃতীয় প্রতিপক্ষ ভারত। শেষ প্রতিপক্ষ আবারও কলকাতাতে নিউজিল্যান্ড। এ বছর আসর বসছে ভারতে। ফলে আরও বেশি করে সকলের আগ্রহ তৈরি হয়েছে এই বিশ্বকাপ ঘিরে। মোট তিনটি ধাপে ১৬টি দল এই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। ভারতের মোট ৭টি শহরে ৮ই মার্চ থেকে ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত বসবে বিশ্বকাপের আসর। ভারতের মাটিতে হওয়ায় বাংলাদেশ বেশ ভালোভাই স্বপ্ন দেখছে ২০১৫ বিশ্বকাপের মতো চমকে দিতে।