০৩ মার্চ ২০১৬: মাঝে-মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। মেজাজ হারালে কখন যে কী করে বসেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এ নিয়ে কম ভোগান্তিতেও পরতে হয়নি তাকে । এইতো সেদিন বিপিএলেও আম্পায়ারের সঙ্গে অসাধাচরণ করেছিলেন। যে কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
তার আগেও কখনও ড্রেসিংরূমে বসে টিভির সামনে অশালীন আচরণ করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। কখনো গ্যালারিতে গিয়ে দর্শকের সঙ্গে মারামারি করেছেন। এবার সাকিব যা করলেন, সেটাও বেশ দৃষ্টিকটুই। খেলার মাঠেতো ‘শাস্তিযোগ্য।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটা ছিল তুমুল উত্তেজনার। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি করতে আসছেন আমির। অন স্ট্রাইকে দুনিয়া মাতানো অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার তখন ১৭ বলে ২৬ রান। এমন অবস্থায় স্কুপ করতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড সাকিব।
রিফ্লেক্ট বলে হয়নি, তাই ক্ষোভ গিয়ে পড়ল নিরীহ উইকেটের ওপর। একটা পড়েছিল আমিরের বলে। বাকি দুটোকে স্টাম্প ব্যাট চালিয়ে ভেঙে দিলেন সাবিক। কাজটি খেলোয়াড়সুলভ হয়নি- সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভুলটি বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেন আম্পায়েরের কাছে।
ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এই আচরণের জন্য সাকিবকে সেই সময় কোনো শাস্তি দেন নি। কিন্তু ততক্ষণে যা করার তাতো করেই ফেলেছেন! আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন।
তবে এই অপরাধের জন্য শাস্তি পাননি সাকিব। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.১.৮ ধারায় দোষী হয়েছেন সাকিব। এই ধারায় খেলার সময় ক্রিকেট সরঞ্জামের অপব্যবহারের কথা বলা আছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাকিব আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই আর আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি। এই ধরনের অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন শাস্তিই পেয়েছেন সাকিব। লেভেল ওয়ান এই অপরাধের সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্ক করে দেওয়া। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা। জরিমানা হয়নি সাকিবের। সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।
ঘটনাকে ‘আক্কেল সেলামি’ বলতেও দ্বিধা করছেন না সাকিব ভক্ত এবং সমালোচকরা।