গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধামনমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কর্তৃপক্ষ বলছে এরইমধ্যে জমি অধিগ্রহণ সহ বেশ কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে।
যে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করা হয়েছে তার মধ্যে সরকারি উদ্যোগে রয়েছে চারটি, আর বাকি ছয়টি বেসরকারি উদ্যোগে।
সরকারি উদ্যোগের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাগেরহাটের মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং টেকনাফের সাবরাং পর্যটন অঞ্চল।
টেকনাফে বিশেষ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পর্যটন খাতে নেয়া হবে বিশেষ উদ্যোগ।
অন্যদিকে বেসরকারিভাবে যে ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে সেগুলো হলো নরসিংদীর পলাশে এ কে খান গ্রুপ, মুন্সীগঞ্জে আবদুল মোনেম লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা গ্রুপের দুটি, গাজীপুরে বে গ্রুপ এবং নারায়ণগঞ্জে আমান গ্রুপ।
এরইমধ্যে জমি অধিগ্রহণ সহ বেশ কিছু অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
সারাদেশে বিনিয়োগ ছড়িয়ে দিতে আগামী ১৫ বছরে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ১০০ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায় বাংলাদেশের সরকার।
এরইমধ্যে চাহিদার প্রেক্ষিতে চীন, জাপান ও ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য অঞ্চল নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলছেন, এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে অন্তত ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ব্রিটেন থেকে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিয়েছে ৷ ইতিহাসে এই প্রথম ২ জন ব্যবসায়ী নারী প্রতিনিধি রয়েছেন ৷ ৪ প্রতিনিধির মধ্যে রয়েছেন মুকিম আহমেদ, মাতাব সিদ্দিকী, মুমতাজ খান এবং পলি ইসলাম ৷