১ মার্চ ২০১৬: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হারিছ চৌধুরীসহ ১০ পলাতাক আসামির বিরুদ্ধে ক্রোকাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ আতাবুল্লাহ এই নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ৩১শে মার্চ।
এর আগে সকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হুজি নেতা মুফতি হান্নান, শেখ ফরিদ, মাওলানা শেখ সালাউদ্দিন, আ. মাজেদ, মহিব উল্লাহ, শরীফ শাহেদুল আলম ও মাইন উদ্দিন এবং হবিগঞ্জের কারাগারে থাকা মিজানুর রহমান মিজান, দেলোয়ার রিপন, বদরুল আলম ও হালিম সৈয়দ নাহিমকে হাজির করা হয়। তবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র আলহাজ জিকে গউছকে হাজির করা হয়নি। এ ছাড়া জামিনে থাকা ৮ আসামির মাঝে ৬ জন হাজিরা দেন এবং আবদুল কাইয়ুম ও আয়াত আলী সময় প্রার্থনা করেন। একই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাটি বর্তমানে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী গ্রহণ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। বিস্ফোরক মামলাটি বিচারের জন্য হবিগঞ্জের দায়রা জজ আদালতে ১৩ই নভেম্বর প্রেরণ করা হয়।
হবিগঞ্জের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার চার্জশিট গ্রহণ শেষে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ৫ই জানুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার না হওয়ায় মাল ক্রোকের আদেশ হয়েছে। পরে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামির উপস্থিতিতে মামলার চার্জ গঠন করা হবে। তারপর শুরু হবে বিচার কাজ।
২০০৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবদুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
London Bangla A Force for the community…
