২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: শীতের শেষের বসন্তের প্রথম ঝড়োবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলার জনজীবন। রাজধানীতে দুপুর ১২টার দিকে নীল আকাশ হঠাৎ ছেয়ে গেল কালো মেঘে, যেন সন্ধ্যা। বৃষ্টি বিঘ্নিত নগরবাসীকে একই সাথে সামাল দিতে হলো মিনিট দশেকের শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। মাথা বাঁচাতে যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় খুঁজেছেন। গাছের ভেঙে পড়া ডালে দুর্ঘটনা যাতে না হয়, সে জন্য অনেক গাড়ি বাধ্য হয় দ্রুত পার্কিঙে। সবুজ গাছের পাতা, শুকনো ডাল-পালার পাশাপাশি ছোট ছোট শিল দখল নেয় রাজপথ। তবে ১৫ মিনিটের মধ্যেই বৃষ্টি কোথায় যেন উধাও হয়ে রোদের দেখা মিলে।
পঞ্জিকার পাতায় ১২ ফাল্গুন হলেও কয়েকদিনের কিছুটা গুমট গরমের পর ঝটিকা বর্ষণে স্বস্তি পেয়েছেন রাজধানীবাসী। হঠাৎ বৃষ্টি সানন্দে মাথায় নিয়েছেন অনেকে।
এদিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বরিশাল নগরী। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার ভোর ৬টায় বরিশালে উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস ও বজ্র বৃষ্টি শুরু হয়। এই দমকা হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশে বিলবোর্ড ও গাছপালা ভেঙে পড়ে। নগরীর পলাশপুর ডকইয়ার্ড ও ভাটিখানায় ভেঙ্গে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও মসজিদ। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সকাল ৬টা থেকে এখন পর্যন্ত শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রামে ভোর থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও সকাল ৯টা থেকে হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কোন প্রস্তুতি না থাকায় বেশিরভাগ মানুষকেই দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজে কর্মস্থলে যেতে। রাস্তাঘাটে কমে গেছে যান চলাচল।
বুধবারের বর্ষণে আবার অনেক কর্মমুখি মানুষ, স্কুল-ফেরতা শিক্ষার্থী, পথচারীরা পড়েন বিপাকে। শিলা বৃষ্টি- ঝড়ের কারণে যানবাহনের গতি মন্থর হয় বলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। আর সব ঝড় থেমে গেলে দুরন্ত শৈশবের ধুম পড়ে শিল কুড়ানোর।