২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: এক বছর পর একুশের প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে নিজের ডাকা লাগাতার অবরোধের মধ্যে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান নি তিনি। এ জন্য আজ শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় গুলশানের বাসভবন থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শায়রুল কবীর বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। এ সময় উপাচার্য সিদ্ধান্ত দেন যে, রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শেষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের তত্ত্বাবধান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের নেতৃত্বে একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা করা হয়।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছিলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দোয়েল চত্বর দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যেতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগেই পুলিশের কাছে আবেদন করতে হবে।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে সবার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। এরপর কূটনীতিকরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাঁরা সাধারণত দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারে যান।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার জানান, খালেদা জিয়াকে সীমিত সংখ্যক সঙ্গী নিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে, যদি তিনি অনুরোধ জানান।