১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬: ‘রাশিয়ার হুমকি’ মোকাবিলা করতে বাল্টিক সাগরে ন্যাটোর বহরে আরো পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ ও ৫৩০ জন নৌ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সেনারা রুশ সীমান্তের কাছে বাল্টিক সাগর-তীরবর্তী দেশগুলোর স্থলভাগেও অবস্থান নেবেন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন এই ঘোষণা দিয়েছেন।
ফ্যালন জানিয়েছেন, ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো ন্যাটোতে নৌশক্তি বাড়াতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ন্যাটোতে আরো কত সেনা পাঠানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনে। পোল্যান্ডের ওয়ারসতে জুলাইয়ে এই সম্মেলন হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘ন্যাটোতে আমরা শক্তি বৃদ্ধি করে শত্রুদের এই বার্তাই দিতে চাচ্ছি যে, আমরা যেকোনো হুমকি ও মিত্রদের রক্ষায় প্রস্তুত। ২০১৬ সালে আমরা বিশেষ করে বাল্টিক অঞ্চলে মনোনিবেশ করছি।’
বেশ কিছুদিন ধরেই সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে পূর্ব ইউরোপীয় দেশ পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং জার্মানি। তারা মনে করছে, ওই তিনটি দেশের সেনা উপস্থিতি রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করতে সক্ষম হবে।
বাল্টিক অঞ্চলে পাঠানো ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের মধ্যে থাকছে ‘টাইপ টুয়েন্টি থ্রি ফ্রিগেট’, এইচএমএস আরয়ন ডিউক, একটি ডেস্ট্রয়ার ও তিনটি মাইন সুইপার।
বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটোর একটি বৈঠকে যোগ দেবেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে রাশিয়া ইস্যুতে আলোচনা প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ন্যাটোর দাবি, ইউক্রেনের মতো রুশ সীমান্তের অন্য রাষ্ট্রগুলোতেও রাশিয়া যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে জন্য বাল্টিক অঞ্চলে শক্তি বাড়ানো হচ্ছে।
সূত্র : দ্য ইনডিপেনডেন্ট।