ব্রেকিং নিউজ
Home / খেলাধুলা / বিশ্বকাপ স্বপ্নের মৃত্যু!

বিশ্বকাপ স্বপ্নের মৃত্যু!

১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬: শেষ পর্যন্ত পারলনা মিরাজ এন্ড কোং। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটের পরাজয়ে থেমে গেছে বাংলাদেশ দলের স্বপ্নযাত্রা, সেই সঙ্গে অধরাই থেকে গেল বৈশ্বিক কোনো আসরে প্রথমবারের মত ফাইনালে খেলার স্বপ্নটাও।

২২৭ রানের লক্ষ্য। প্রথম দুই ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে নিলো ২৫ রান। রীতিমত টি-টোয়েন্টির মেজাজ! এরপরও বাংলাদেশের স্বপ্নটা বেঁচে ছিল। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া আঘাত আর সালেহ আহমেদ শাওনের এক ওভারে দুই উইকেট বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছিল ম্যাচে।

কিন্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শিমরন হিটমেয়ার (৬০) ও শ্যামার স্প্রিঙ্গারের (৫৯*) ব্যাটে সেই স্বপ্নটা ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। আট বল বাকি থাকতে তিন উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মিরাজ, শাওন ও সাইফুদ্দিন।

তীরে এসে ডুবলো বাংলাদেশের তরী। ঘরের মাটিতে ফেবারিট হয়েও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন অধরাই থাকলো মিরাজবাহিনীর। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৪ তারিখের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে উইন্ডিজ দল।

সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তাতে সপ্তম ওভারের প্রথম বলের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রথম বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন ঘটতে থাকে।

যথাক্রমে ৫৮, ৮৮ ও ১১৩ রানে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। এর মধ্যে জয়রাজ শেখ ৩৫ ও জাকির হাসান ২৪ রান করলেও কেউ বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারছিলেন না।

এরপর হাল ধরেন খোদ অধিনায়ক মিরাজ। তার টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনকে সাথে নিয়ে ১৮ ওভার দুই বল উইকেটে টিকে থেকে যোগ করেন মোট ৮৫ রান। মিরাজ ৬০ ও সাইফুদ্দিন ৩৬ রান করেন।

এরপর আবারও বিপদ। ৪৬ তম ওভারে কেমো পলের পর পর দুই বলে দুই সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যান। শেষমেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করতে পারে বাংলাদেশ।

আর দিন শেষে সেই লক্ষ্য টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে দুই উইকেট নেয়া স্প্রিঙ্গার ঝলক দেখিয়েছেন ব্যাট হাতেও। আর ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার সাথে সাথে নিজ হাতে হত্যা করেছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্নকে।

আর এরই মধ্য দিয়ে আরও একটা স্বপ্ন-ভঙ্গের সাক্ষী হয়ে রইলো মিরপুর!