১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক তথ্য গোপন করে বিচারপতি হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম জুলফিকার আলী (জুনু) এ অভিযোগ করেছেন।
বিচারপতি মানিকের ‘জাজশিপ’ প্রত্যাহার চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার ঠিক একদিন পরেই এ রকম একটি অভিযোগ দায়ের করা হলো।
অভিযোগে বলা হয়, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক দ্বৈত নাগরিকপ্রাপ্ত। দ্বৈত নাগরিক হিসেবে তিনি ব্রিটিশ সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। পক্ষান্তরে তিনি প্রথমে বাংলাদেশের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে করেছেন। অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ নাগরিক।
এ আইনজীবী আরো অভিযোগ করেন, ‘দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময় মানিক কাগজ-পত্রে দ্বৈত নাগরিকের কোনো তথ্য দেননি। অর্থাৎ দ্বৈত নাগরিক সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।’ যা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এ সকল বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের দ্বৈত নাগরিকের তথ্য গোপন করার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তের আবেদন জানান এই আইনজীবী।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক বঙ্গভবনে গিয়ে বিচারপতি মানিকের জাজশিপ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন জমা দিয়ে আসেন।
এই আইনজীবী বলেন, ‘অতিদ্রুত যদি রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তার জাজশিপ প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।’
সূত্র: প্রিয়.কম