৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রোববার কাদের সিদ্দিকীর আবেদনটির শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) রাখেন। এ সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি নিয়ে কাদের সিদ্দিকীকে নিয়মিত আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করতে হবে।
চেম্বার আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইয়াসীন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এবং মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাংসদ পদ থেকে লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করেন। ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কাদের সিদ্দিকী।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তা ১৮ অক্টোবর খারিজ হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন কাদের সিদ্দিকী।
৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে কাদের সিদ্দিকীর রিট আবেদনের ওপর রায় আসে। এতে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এরপর আজ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করলেন কাদের সিদ্দিকী।