১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘ভুল শুধরে নিন। শিক্ষকদের নিয়ে বাজে কথা বলার জন্য মাফ চেয়েছেন। এবার বাজে কাজ (ভ্যাট) প্রত্যাহার করে মাফ চান।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৪ বছর পরও ৩৯ শতাংশ লোক এখনও অশিক্ষিত রয়ে গেছে। তাছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট নেই। তাই বলছি এই ভ্যাট প্রত্যাহার করে মাফ চান।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘এশিয়ার অন্য দেশগুলো শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে। ওই খানকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিতে অর্থ লাগে না।’
শিক্ষাক্ষাতে ইতিহাস গড়ার মতো বাজেট হওয়া উচিৎ মন্তব্য করে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘ভ্যাট প্রত্যাহার না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। দেশের ৬৫-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রকমের অর্থ বরাদ্দ দেয় না সরকার। তাহলে কেন ভ্যাট বসাবেন?’
এসময় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর প্রসঙ্গে ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘মাত্র ২১ লাখ লোকের বেতন বৃদ্ধি করে ১৬ কোটি মানুষকে সমস্যায় ফেলেছেন।’
সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদ ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নীতাই রায় চৌধুরী, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মো. আবুল হোসেন।