ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / শীঘ্রই দেশে ফিরে ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন তারেক রহমান : যুক্তরাজ্য বিএনপি

শীঘ্রই দেশে ফিরে ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন তারেক রহমান : যুক্তরাজ্য বিএনপি

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের ৮ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের নিউরোডস্থ একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্য বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ, তারেক রহমানের মানবাাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার এম এ সালাম, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আক্তার হোসেন, গোলাম রাব্বানী ও প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহিদুর রহমান বলেন, কথিত ১/১১র মাধ্যমে ক্ষমতাদখলের পর ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোর রাতে কোন ওয়ারেন্ট, মামলা, জিডি এমনকি সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই বিতর্কিত সেনা সমর্থিত সরকারের নির্দেশে জরুরী বিধিমামলায় গ্রেফতার করা হয় দেশের ভবিষ্যত কান্ডারি তারেক রহমানকে। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নির্যাতন ও টানা ৫৫৪ দিন কারাবাসের পর সরকারের সাজানো সবকটি মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের এই দিনে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান। তিনি বলেন, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ও বর্তমান সরকারের প্রায় ৭ বছরে রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে টাস্কফোর্স, দুদকসহ সকল সংস্থাই দেশে বিদেশে তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদা দাবী ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তারেক রহমান জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করতেন। জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা বাস্তবায়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। এ জন্য তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন করা হয়েছিলো।

সভাপতির বক্তব্যে এম এ মালেক বলেন, ১/১১-এর সময়ে কারাবন্দী অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে । ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের উদ্দেশ্য ছিলো তারেক রহমানকে মেরে ফেলা। অথবা এমন অবস্থা করে দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে স্বাভাবিকভাবে কোনো কাজকর্ম করতে না পারে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলিভেনের সময় থেকে শহীদ জিয়া ও বিএনপি পরিবারকে ধ্বংসের যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা আজও অব্যাহত আছে। কিন্তু জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক জনতা এই ষড়যন্ত্র কোনদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। দেশনায়ক তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবসের খুশীর এই দিনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করতে দলের সকল স্থরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। মালেক বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরী ও বিএনপি’র আগামীদিনের কর্ণধার হচ্ছেন তারেক রহমান। কিন্তু তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করে আওয়ামীলীগ সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করছে। জুলুম-নির্যাতন করে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের স্তব্ধ করা যাবে না। ইনশাল্লাহ শীঘ্রই তারেক রহমান লন্ডন থেকে বীরের বেশে দেশে ফিরবেন এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ বলেন, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ সেনা সমর্থিত সরকার কর্র্তৃক গ্রেফতারের পর আজ এই দিনে দেশনায়ক তারেক রহমান আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। আজ আমাদের আনন্দের দিন। এই আনন্দের দিনে আমাদের সবাইকে গণতন্ত্রের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ নিতে হবে। কয়সর বলেন, ১/১১ এর প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। সে সময় তাকে চাপে রাখতে মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভাই আরাফাত রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো কিন্তু তারেক রহমান মায়ের মতোই দেশ ছাড়তে রাজি না হওয়ায় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তারা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র পর্যন্ত করেছিল। রিমান্ডে সীমাহীন বর্বরোচিত নির্যাতন, হাসপাতালে ভর্তি প্রিয় নানিকে হারানো, মা ও একমাত্র ভাইয়ের কারাবরণ ইত্যাদি ঘটনার মধ্য দিয়ে কারাগার ও হাসপাতালের প্রিজন সেলে ১৮ মাস কাটান তিনি। এখনও বিদেশে তারেক রহমান সেই নির্মম নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উল্লেখ করে কয়ছর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং আগামীতে বাংলাদেশ একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে ।

আলোচনা সভায় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা নিজাম মিয়া, সলিসিটর একরামুল হক মজুমদার, ব্যারিস্টার আরমান রফিক, ফিরোজ চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সহিদুল ইসলাম মামুন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, তাজ উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সহসাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, ডা. মজিবুর রহমান,আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, লন্ডন মহানগর বিএনপি সভাপতি তাজুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাহিদ আলী তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, প্রচার সম্পাদক মোতাহের হোসেন লিটন, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান জাহিদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবু সায়েম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার তমিজ উদ্দিন, যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান হ্যাভেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তাজবির চৌধুরী শিমুল, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আবুল হাসনাত রিপন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের শেখ, সহ দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সহআইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট লিয়াকত আলী, সহ যুববিষয়ক সম্পাদক খিজির আহমেদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সদস্য আনা এম মিয়া, হাবিবুর রহমান ময়না, আবেদ রাজা, সালেহ গজনবী, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, এডভোকেট আবুল হাসনাত, সহিদ আবুল কালাম সেতু, মোঃ হেলাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, শিশু মিয়া, যুক্তরাজ্য যুবদলের আহ্বায়ক দেওয়াম মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক লিটন, সিনিয়র সদস্য রহিম উদ্দিন, সাব্বির আহমেদ ময়না, আফজাল হোসেন, বাবর চৌধুরী, আলকু মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাসির আহমেদ শাহীন, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম শিমু, একে সিদ্দিক, জাসাস সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মিছবাহ চৌধুরী রাসেল, মোহাম্মেদ হেলাল, সহিদ আহমেদ, তওফিক চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম শিমু, জাতীয়তাবাদী ল‘ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার আহ্বায়ক ব্যারিষ্টার তারিক বিন আজিজ, ব্যারিষ্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন, ব্যারিষ্টার আলিমুল হক লিটন, ব্যারিষ্টার আনোয়ার আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিষ্টার আশরাফ আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিষ্টার জাহাঙ্গীর আলম, এডভোকেট আলী আকবর কাদির, এডভোকেট মাহবুব আলম তোহা, এডভোকেট শেখ তরিকুল ইসলাম, এডভোকেট মোঃ মাহবুবুল আলম, মহিলা দলের নেত্রী অঞ্জনা আলম,আরজুমান্দ মনি, এমদাদ হোসেন, শাহাব উদ্দিন, সৈয়দ জিয়াউর রহমান,আব্দুল গাফফার, মাওলানা শামীম, এস এম মামুন, মাসুম বিল্লাহ, মোঃ কামরুল ইসলাম, একেএম সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন মজুমদার, ফাহিদ আহমেদ চৌধুরী, মনির আহমেদ, শিশির আহমেদ, আলম হোসেন প্রমূখ।